দায়িত্বশীলদের মধ্যে ৫টি গুণাবলী থাকলে গণভিত্তি না হয়ে পারবে না : মতিউর রহমান আকন্দ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫:৪৭:৪৩ অপরাহ্ন
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ বলেছেন, দায়িত্বশীলদের মধ্যে ৫টি গুণাবলী থাকলে গণভিত্তি না হয়ে পারবে না। তিনি ৫টি গুণাবলীর নামোল্লেখ করে বলেন, সত্যের স্বাক্ষী, সুসংবাদ বহনকারী, সতর্ককারী, সত্য কথা উপস্থাপনকারী ও বিনিময় না চাওয়া ব্যক্তির মধ্যে ওই জিনিসগুলো থাকলে গণভিত্তি তৈরি না হয়ে পারবে না।
শনিবার জেলা জামায়াতের আয়োজনে ‘লিডারশীপ ট্রেনিং’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন তিনি।এডভোকেট আকন্দ আরো বলেন, পৃথিবী পরিবর্তনের দুটি ধারা রয়েছে। একটি গণতান্ত্রিক আরেকটি গণভিত্তি। এ দু’টির জন্য জনসমর্থন প্রয়োজন। গণভিত্তির একটি অংশ হবে জনসমর্থনসহ আর্মি এডমিনিস্ট্রেশন ও সিভিল এডমিনিস্ট্রেশন। এটা না হলে কোন জাতি টিকতে পারবে না।
তিনি বলেন, গণভিত্তি রোড লেভেলে হবে, ওয়ার্ড পর্যায়ে হবে। একটি ইউনিয়নের ওয়ার্ড যদি মজবুত থাকে, তবে এখান থেকে আর্মি তৈরি হবে, প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদবী বের হবে। সুতরাং কর্মী তৈরি করতে হলে অবশ্যই আমাদের রোড লেভেলে যেতে হবে।ছাত্রদের মাধ্যমে নেতৃত্ব তৈরি হয় উল্লেখ করে আখন্দ আরো বলেন, একটি এলাকায় মুরব্বীদের দাওয়াতের আওতায় আনতে হবে। এটি করতে পারলে একজন ছাত্র তার আরেক অভিভাবক পাবে। সংগঠনের কাজে আরো উৎসাহ পাবে।
দাওয়াতী কাজ কিভাবে করতে হবে উল্লেখ করে জামায়াতের প্রচার সম্পাদক আরও বলেন, আল্লাহ’র রাসুল যেভাবে দাওয়াতী কাজ করেছেন, আমাদের ঠিক সেইভাবেই কাজ করতে হবে।
আল্লাহর রাসুল যত লোককে দাওয়াত দিয়েছেন সেটি বৃথা যায়নি। আমাদের জান্নাতের সুসংবাদ বহনকারী হতে হবে। কিন্তু আমরা হয়ে যাই ব্যবসা বাণিজ্যের সংবাদ বহনকারী।দাওয়াতীদের দাওয়াত কাজে কোন বিনিময় নেওয়া যাবে না বলে তিনি আরও বলেন, যারা দাওয়াতি কাজ করবেন তারা প্লাবন তৈরি করবেন, কিন্তু কোন বিনিময় নেবেন না। অনুষ্ঠানে জামায়াতের জেলা আমীর প্রকৌশলী এম শাহেদ আলীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী মোঃ ইয়ামীর আলী’র সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগর আমীর মোঃ ফখরুল ইসলাম।
এ সময় তিনি বলেন, আমাদের দ্বায়িত্বশীলদের দাওয়াতী কাজ উদার মনে করতে হবে। সেই দাওয়াত দিতে হবে সর্বমহলে। শুধু বড় ব্যবসায়ী দেখে দাওয়াত দিলে হবে না। একজন পান দোকানদারকেও জামায়াতের দাওয়াত দিলে সেটি আরো প্রচার ও প্রসার হবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে সূরা সদস্য ও সাবেক জেলা আমীর মোঃ আব্দুল মান্নান, সাবেক জেলা আমীর দেওয়ান সিরাজুল ইসলাম মতলিব, মাও আজাদ সোবহানী, মাওঃ আমিরুল ইসলাম, মাওঃ আব্দুল হক প্রমূখ। লিডারশীপ ট্রেনিং-এ জেলাশহর ছাড়াও বিভিন্ন উপজেলা দ্বায়িত্বশীলগণ উপস্থিত ছিলেন।