ওসমানীনগরে আবাসিক এলাকায় খাদ্য কারখানা স্থাপনের প্রতিবাদে মানববন্ধন
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫:৫০:০১ অপরাহ্ন
ওসমানীনগর প্রতিনিধি: ওসমানীনগরের বড় ইসবপুর আবাসিক এলাকায় পাশ্ববর্তী লামা ইসবপুর গ্রামের হিরা মিয়া জনি কর্তৃক খাদ্য সামগ্রী উৎপাদনের কারখানা স্থাপন নিয়ে গ্রামবাসীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আবাসিক এলাকায় কারখানা স্থাপনের প্রতিবাদে দফায় দফায় বৈঠক করেও কোন প্রতিকার না পেয়ে শনিবার সকাল ১১টায় মানববন্ধন করেছেন কয়েক গ্রামের প্রায় ৫ শতাধিক মানুষ। তাছাড়া ইতোপূর্বে আবাসিক এলাকায় কারখানা স্থাপন না করতে ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগও করেছেন এলাকাবাসী।
উপজেলার গোয়ালাবাজার-উমরপুর সড়কে এলাকাবাসী আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় ওসমানীনগর ইসলামিক একাডেমী দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা সাদিক সিকান্দার, উমরপুর ইউপি সদস্য আব্দুল মুকিদ, সাবেক সদস্য আমিরুল ইসলাম শিকদার, পঞ্চগ্রাম ঈদগাহ কমিটির সাবেক সভাপতি আব্দুল হান্নান শিকদার, সমাজসেবক হাজী নেওর মিয়া, সাহাব উদ্দিন শিকদার গফ্ফার, মাওলানা আব্দুল হামিদ, তৌরুছ মিয়া, অনীল দাস, খালিছ মিয়া, নগেন্দ্র মালাকার, এনামুল হক বজলু, আব্দুর রব মিলন, ফরিদ শিকদার, শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, মওদুদ আহমদ চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন, সৈয়দ আহমদ জান শাহনুর, জাবেদ আহমদ, আবরুছ মিয়া, জাহির আলী, আনহার মিয়া, আব্দুল মালিক শিকদার, আব্দুল কাদির, হেলাল মিয়া, লিটন মিয়া, ফরিদ আলী, আব্দুল আজিজ, মুমিন মিয়া, জিলু মিয়া, টিপু মিয়া চৌধুরী, এরাব উল্লাহ, আখতার মিয়া, সুলতান মিয়া, আব্দুল জলিল, রুম্মান আহমদ, লাল মিয়া, ক্বারী আশরাফুর রহমান চৌধুরী, আঙ্গুর মিয়া, মুতলিব মিয়া, লিটন মিয়া চৌধুরী প্রমুখ।
মাসববন্ধনে বক্তারা বলেন, আবাসিক এলাকায় কোন খাদ্য উৎপাদনকারী কারখানা স্থাপন হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ এলাকার পরিবেশ বিনষ্ট হবে। কেমিক্যাল মিশ্রিত কারখানার বর্জ্য খালের পানি ও কৃষিজমিতে মিশে হাওরে পড়ে জীববৈচিত্র এবং কৃষি উৎপাদনের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। তাই সরকার নির্ধারিত শিল্পাঞ্চলে কারখানা স্থাপন করার আহবান করছি। কারখানার মালিক হিরা মিয়া জনি বলেন, আমি বড় ইসবপুরে বিভিন্ন ধরনের জুস, পটেটো চিপস, সয়াবিন তেল, সরিষার তেল উৎপাদনের ফ্যাক্টরী স্থাপন করতে চেয়েছিলাম। কিছু মানুষ তাদের ব্যক্তি স্বার্থের জন্য আমাকে এটি করতে দিচ্ছে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপমা দাস বলেন, এলাকাবাসীর অভিযোগ পেয়ে আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।