শেখ হাসিনা ১৫ বছরে ৪টি গণহত্যা চালিয়েছেন- হবিগঞ্জে এডভোকেট জুবায়ের
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯:৪৬:০৭ অপরাহ্ন
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৫ বছরে ৪ টি গণহত্যা চালিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।শনিবার হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে জেলা জামায়াতের উদ্যোগে সিরাতুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জেলা নায়েবে আমির কাজী মাওলানা মুখলিছুর রহমানের সভাপতিত্বে, জেলা সহকারী সেক্রেটারী এডভোকেট নজরুল ইসলাম ও কাজী আব্দুর রউফ বাহারের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারী মোহাম্মদ শাহজাহান আলী।
প্রধান আলোচক হিসেবে আলোচনা পেশ করেন মিসবাহুল উলুম কামিল মাদ্রাসা ঢাকা-এর প্রধান মুহাদ্দিস শায়েখ মাহমুদুল হাসান। বিশেষ আলোচক ছিলেন মুফতি রফিক বিন বদরুল হুদা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী কাজী মহসিন আহমদ।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য পেশ করেন হবিগঞ্জ জেলা শিবিরের সাবেক সভাপতি, সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী মীর নুরুন্নবী উজ্জ্বল, জেলা শিবিরের সভাপতি রবিউল ইসলাম, জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আশরাফ আলী, মাওলানা হাবিবুর রহমান, মাধবপুর উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আলাউদ্দিন ভুঁইয়া, চুনারুঘাট উপজেলা আমীর হাফেজ মাওলানা কামরুল ইসলাম, বানিয়াচং উপজেলা আমীর মাওলানা তাসলিম আলম মাহদী, নবীগঞ্জ উপজেলা আমীর মাওলানা ইসমাইল হোসেন জসিম ও জেলা শিবিরের সেক্রেটারি হোসাইন আহমদ প্রমুখ।
এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসেই বিডিআর বিদ্রোহের সময় দেশ সেরা সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের হত্যার মধ্য দিয়ে গণহত্যা শুরু করেন। আল্লামা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর কথিত ফাঁসির রায় দেয়ার দিন সারাদেশে যখন প্রতিবাদ শুরু হয়, তখন শেখ হাসিনার নির্দেশে ২৫০ জন নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হয়। সেটা ছিল দ্বিতীয় গণহত্যা। তৃতীয় গণহত্যা ছিল ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকার শাপলা চত্বরে। হেফাজতে ইসলামের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে শেখ হাসিনার নির্দেশে রাতের আধারে গণহত্যা চালানো হয়।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার চূড়ান্ত গণহত্যা ছিল জুলাই গণহত্যা। ছাত্ররা অধিকারের কথা বলেছিল, তাদের পাখির মতো গুলি করে হত্যা করা হয়। হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে ছাত্র-জনতাকে হত্যা করা ছিল শেখ হাসিনার নৃশংস গণহত্যা। ৫৪ বছরে মানবিক বাংলাদেশ হয়নি, ৫৪ বছরের মধ্যে শেখ হাসিনার আমল ছিল সবচেয়ে বৈষম্যপূর্ণ শাসন, তাতে ন্যায় বিচার ছিল না। জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘শেখ হাসিনা মাঝে মাঝে ঘোমটা পড়েন, তাছবিহ হাতে নিয়ে নাটক করতেন, আওয়ামী লীগের হিন্দু নেতারা বলতেন, শেখ হাসিনাকে তারা তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে দেখেছেন।’
তিনি বলেন, ‘ইসলামী রাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তা দেয়া হয় অমুসলিমদেরকে। ৫ আগস্টের পর বিশ্ব দেখেছে, জামায়াতে ইসলামী কিভাবে অমুসলিমদের নিরাপত্তা দিয়েছে। কিছু অঘটন ঘটেছে, তবে তা ছিল ব্যক্তিগত বিরোধ, টাকা-পয়সার পূর্বের লেনদেন ইত্যাদি কারণে। এসব বিষয়কেও জামায়াত সমর্থন করেনি।’ তিনি আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কোনো ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না, সকল চক্রান্ত নস্যাত করে দেয়া হবে।’