চন্দরপুর ব্রিজের এপ্রোচে ভাঙ্গন, দুর্ঘটনার শঙ্কা
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ অক্টোবর ২০২৪, ৭:০৫:০৯ অপরাহ্ন
বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি:
সিলেটের সাথে যোগাযোগের দুরত্ব কমিয়ে আনা বিয়ানীবাজার-চন্দরপুর-সিলেট সড়কটির কুশিয়ারার উপর নির্মিত সুনামপুর-চন্দরপুর ব্রীজে একের পর এক এপ্রোচে ফাটল ধরার ফলে দিন দিন ঝুঁকি বাড়ছে। নতুন করে গোলাপগঞ্জ উপজেলার একটি অংশে ব্রীজের শেষ মাথায় ফাটল ধরে নিচের মাটি ধসে পড়েছে। যার ফলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে শঙ্কা করছেন স্থানীয়সহ সাধারণ যাত্রীরা। এর আগে ২০২২ সালের বন্যা পরবর্তী সময়ে ব্রীজের শুরুর অংশে বিয়ানীবাজারে দিকে ভাঙন দেখা দিলে প্রাথমিক সংস্কার করলেও ঝুঁকি রয়ে গেছে।
সরেজমিনে সুনামপুর-চন্দরপুর ব্রীজ ঘুরে দেখা যায়, ব্রীজের উভয়পাশে ব্যাপক ভাঙনের ফলে নিচ থেকে মাটি সরে যাচ্ছে। যার ফলে দিন দিন শক্তি হারাচ্ছে ব্রীজটি। এছাড়াও নতুন করে ব্রীজের মধ্যে বেশ কিছু ফাটল দেখা দিয়েছে।
অটোরিকশা চালক রঙ্গু বলেন, বন্যার পর থেকেই ব্রীজের নিচে একটু একটু করে ভাঙন শুরু হয়েছে। যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। ঝুঁকি নিয়ে আমরা যাতায়াত করছি। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নিয়ে দ্রুত স্থায়ী সমাধান করলে আমরা উপকৃত হবো।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের সূত্রমতে, বাংলাদেশ সরকারের ৩০৬.৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়ক নেটওয়ার্কে অন্তর্ভুক্ত সেতুগুলোর প্রকল্পের আওতায় সিলেটের গোলাপগঞ্জে কুশিয়ারা উপর নির্মিত ঢাকাদক্ষিণ-সুনামপুর-চন্দরপুর-বিয়ানীবাজার সড়কে কুশিয়ারা নদীর উপর ২শ’ ৪৯ দশমিক ৩৭ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটির নির্মাণে ব্যয় হয় প্রায় ২৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা।
এ বিষয়ে বিয়ানীবাজার উপজেলার প্রকৌশলী কর্মকর্তা দিপক কুমার বলেন, বর্তমানে ব্রিজের শেষের অংশে যে জায়গাটি নতুন করে ভেঙেছে সেটি পার্শ্ববর্তী গোলাপগঞ্জ উপজেলার আওতায়, খুব সম্ভবত তারা মেরামতের জন্য কাজ করছে।
গোলাপগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, ব্রীজের যে অংশে সমস্যা দেখা দিচ্ছে আমরা প্রাথমিকভাবে সমাধানে কাজ করে যাচ্ছি। এছাড়াও স্থানীয়ভাবে সমাধানের জন্য ঊর্ধ্বতন মহলে যোগাযোগ হচ্ছে, আশা করা যায় পাঁচ থেকে ছয় মাসের মধ্যে স্থায়ীভাবে কাজ হবে।