তুরাব হত্যা মামলা : ঘটনাস্থল পরিদর্শনে পিবিআই
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ৯:০৮:২৮ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটে বিগত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত দৈনিক জালালাবাদের স্টাফ রিপোর্টার সাংবাদিক এটিএম তুরাব হত্যা মামলার তদন্তকাজ শুরু করেছে সিলেট পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। বুধবার বিকেলে নগরীর বন্দরবাজার সংলগ্ন শহীদ সাংবাদিক তুরাব চত্তর (কোর্ট পয়েন্ট) এলাকায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনের মাধ্যমে তদন্তের কার্যক্রম শুরু করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ মুরছালিন। এসময় মামলার বাদী তুরাবের আবুল আহসান মোঃ আজরফ (জাবুর) ছাড়াও সিলেটে কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
তুরাবের শরীরে গুলি লাগার স্থান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদেরকে তদন্তকাজ দ্রুত শেষ করার আশ্বাস প্রদান করেন পিবিআইয়ের তদন্তকারী কর্মকর্তা মো: মুরসালিন। এর আগে গত রোববার (৬ অক্টোবর) দুপুরে আদালতের নির্দেশে মামলার নথিপত্র পিবিআই সিলেটের পুলিশ পরিদর্শক মুরসালিনকে বুঝিয়ে দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালী থানার এসআই শাওন।
এ ব্যাপারে পিবিআই সিলেটের ইন্সপেক্টর মুরসালিন দৈনিক জালালাবাদকে বলেন, আমি বুধবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে তদন্ত কাজ শুরু করেছি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে মামলার তদন্ত রিপোর্ট প্রদানের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। এজন সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
উল্লেখ্য- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই জুমআ’র নামায শেষে নগরীর কোর্টপয়েন্টে পুলিশের গুলীতে গুরুতর আহত হন দৈনিক জালালাবাদের স্টাফ রিপোর্টার ও দৈনিক নয়া দিগন্তের সিলেট ব্যুরো প্রধান এটিএম তুরাব। আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক না থাকায় নার্সরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে জরুরী ভিত্তিতে সিলেট ইবনে সিনা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে আইসিইউতে থাকাকালে সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটের সময় তুরাব ইন্তেকাল করেন।
গত ১৯ আগস্ট সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলা দায়ের করেন তুরাবের ভাই আবুল আহসান মোঃ আজরফ (জাবুর)। আদালত মামলাটি এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করে তদন্তের জন্য কোতোয়ালী থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন। মামলায় ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ২০০-২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়। মামলায় উল্লেখিত আসামী হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (ক্রাইম, উত্তর) মো. সাদেক দস্তগীর কাউছার, উপকমিশনার (উত্তর) অতিরিক্ত ডিআইজি আজবাহার আলী শেখ, এসএমপির কোতোয়ালি থানার সহকারী কমিশনার (এসি) মিজানুর রহমান, বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কল্লোল গোস্বামী, কোতোয়ালি থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মঈন উদ্দিন, পরির্দশক (তদন্ত) ফজলুর রহমান, এসআই কাজী রিপন আহমদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আপ্তাব উদ্দিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি পীযূষ কান্তি দে, সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি ও ৩২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহেল আহমদ, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সজল দাস অনিক, শিবলু আহমদ, সেলিম মিয়া, সাজলু, আজহার, ফিরোজ ও উজ্জ্বল।
কিন্তু মামলার ২ মাস পেরিয়ে গেলেও কোন অগ্রগতি না হওয়ায় সর্বশেষ আদালতের নির্দেশে মামলাটি পিবিআইতে স্থানান্তর করা হয়। বুধবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনের মাধ্যমে তদন্ত কাজ শুরু করলো পিবিআই।