ওসমানী বিমান বন্দরকে পূর্ণাঙ্গ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর রূপান্তরে লন্ডনে সংবাদ সম্মেলন
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ৭:৩২:০১ অপরাহ্ন
সংবাদদাতা:
ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরকে পূর্ণাঙ্গ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে রূপান্তর ও অন্যান্য এয়ারলাইনের ফ্লাইট চালুসহ বিভিন্ন দাবী দাওয়া বাস্তবায়নের দাবীতে ১৪ অক্টোবর সোমবার ক্যাম্পেইন কমিটি ইউকে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
‘ক্যাম্পেইন কমিটি ইউকে ফর ফুললি ফাংশনাল ওসমানী ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট’ এর উদ্যোগে লণ্ডন বাংলা প্রেসক্লাব অফিসে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংগঠনের আহ্বায়ক কে এম আবু তাহের চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের অর্থ সচিব সলিসিটর মোহাম্মদ ইয়াওর উদ্দিন। সংগঠনের পক্ষে আরো বক্তব্য রাখেন-সদস্য সচিব মোহাম্মদ আব্দুর রব, যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ মো: মফিজুর রহমান, কাউন্সিলর ফারুক চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আহবাব হোসেন চৌধুরী, শাহ মুনিম, জামান আহমদ সিদ্দিকী, মাহবুবুর রহমান কোরেশী ও খন্দকার সাইদুজ্জামান সুমন প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় যে-২০০২ সালে ওসমানী বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে রূপান্তর করা হয়েছে। যুক্তরাজ্য প্রবাসী সিলেটবাসীর দীর্ঘ আন্দোলনের পর লণ্ডন-সিলেট রুটে সরাসরি ফ্লাইট চালু করা হয়। অনেকবার সরাসরি ফ্লাইট বন্ধ হয়েছে। আবার আন্দোলনের পর চালু হয়েছে। যার ফলে সিলেট প্রবাসীরা সরাসরি বাংলাদেশে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। এতে বাংলাদেশও আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে।
ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নামে আন্তর্জাতিক হলেও কাজে এখনো আন্তর্জাতিক মানের হয়নি। একমাত্র বিমান ছাড়া অন্য কোন এয়ারলাইন্সকে ওসমানীতে নামতে দেওয়া হচ্ছেনা। অথচ চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে প্রতি সপ্তাহে বিমান ছাড়াও ৭টি বিদেশী এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট উঠানামা করছে। বাংলাদেশ সরকার ও সিভিল এভিয়েশন অথরিটি সিলেটবাসীর সাথে বৈষম্যমূলক আচরন করছে। বাংলাদেশ বিমানের শতকরা ৯৫ ভাগ যাত্রী সিলেট অঞ্চলের। বিমানের বেশীরভাগ যাত্রী সিলেটী হওয়ায় সিলেটীদের জিম্মী করে বিমানের রিটার্ন ভাড়া সিলেট পর্যন্ত কখনো ১৫০০, কখনো ১২০০ আবার কখনো ১৮০০ পাউণ্ড পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। অথচ সমান ফ্লাইটে ঢাকার যাত্রীদের জন্য ৮০০ পাউণ্ড ভাড়া নেওয়া হয়। এটা প্রবাসী সিলেটবাসীর প্রতি আরেক বৈষম্য। যার ফলে যুক্তরাজ্য প্রবাসী সিলেটীরা ছেলে মেয়েসহ পরিবারের সবাইকে নিয়ে এক সাথে দেশে যেতে পারেন না।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়- সিলেট বিদ্বেষী কুচক্রিমহল সিণ্ডিকেট তৈরি করে সিলেটবাসীকে হয়রানি করছে। অতীতের সব সরকার সিলেটবাসীর উপরোক্ত সমস্যার সমাধানে ব্যর্থ হয়েছে। আমাদের নতুন প্রজন্মের সন্তানরা বাংলাদেশে না গিয়ে তুরস্ক, মরক্কো, মিশর ও ইউরোপ আমেরিকার বিভিন্ন দেশে হলিডেতে যাচ্ছে। ফলে আমাদের সন্তানরা দেশমুখী হচ্ছেনা এবং বাংলাদেশ বিরাট অংকের আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ৭ দফা দাবী পেশ করা হয় ।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের পক্ষে আরো উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মোস্তফা, শাহ মুনিম, আজম আলী, শাহ সেরওয়ান কামালী, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুছ, শেখ ফারুক আহমদ, আনোয়ার জাকারিয়া খান প্রমুখ।