পাথরকোয়ারি পরিদর্শনে মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি দল
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ৮:৫১:৪৬ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটের বিভিন্ন পাথর কোয়ারি পরিদর্শন করছেন খনিজ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি দল। ভূতত্ত্ব এবং খনি ও খনিজ অধিদপ্তরের দুই উপ-পরিচালকের নেতৃত্বে গঠিত এই টীম সিলেট ও সুনামগঞ্জের পাথর কোয়ারি পরিদর্শন এবং পাথরের মূল্য নির্ধারণে কাজ করছেন বলে জানা গেছে।
তারা গত সোমবার (১৪ অক্টোবর) থেকে বুধবার (১৬ অক্টোবর) পর্যন্ত তারা সিলেটের বিভিন্ন পাথর কোয়ারি পরিদর্শন করেন। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) থেকে তারা সুনামগঞ্জের বিভিন্ন পাথর কোয়ারি পরিদর্শন শুরু করেছেন যা শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) পর্যন্ত চলবে।
হঠাৎ করে পাথর কোয়ারিগুলো পরিদর্শন মজুতকৃত পাথরের মূল্য নির্ধারণে সরকারি প্রতিনিধি দল সিলেটে আসার কারণ জানা যায়নি। তবে সূত্র বলছে, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঢিলে হয়ে পড়লে সিলেটের বিভিন্ন কোয়ারি থেকে পাথর ও বালু দেদারসে লুট হয়। মূলত এসব স্থান পরিদর্শন করতে টিমটির সিলেটে আগমণ হতে পারে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ৮ অক্টোবর এক চিঠিতে ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ভূতত্ত্ব) আশরাফ হোসেন ও উপ-পরিচালক (খনি ও খনিজ) মাহফুজুর রহমানকে সিলেট এবং সুনামগঞ্জ পরিদর্শনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। চিঠির অনুলিপি সিলেট জেলা প্রশাসনকে দেওয়া হলেও এ বিষয়ে তারা অবগত নন।
সিলেট ও সুনামগঞ্জে গেজেটভুক্ত বালুমিশ্রিত ৯টি পাথর কোয়ারি রয়েছে। এর মধ্যে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং ও বিছনাকান্দি, কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ, উৎমা, শাহআরেফিন টিলা ও রতনপুর, কানাইঘাটের লোভাছড়া ও শ্রীপুর পাথর কোয়ারি এবং সুনামগঞ্জে রয়েছে তাহিরপুরের ফাজিলপুর ও বিশ্বম্ভরপুরের ধোপাজান পাথর কোয়ারি। শাহ আরেফিন টিলাসহ কয়েকটি কোয়ারি সংকটাপন্ন। আবার অনেক কোয়ারিতে নেই পাথর।
যত্রতত্র পাথর উত্তোলন, যন্ত্রের ব্যবহার ও নীতিমালা উপেক্ষা করায় বিগত সময়ে এসব পাথর কোয়ারি বন্ধ করে সরকার। ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের অভিযোগ, একটি বিশেষ মহলকে পাথর আমদানির সুযোগ দিতেই বন্ধ রাখা হয়। কোয়ারি বন্ধে বেকার হয়ে পড়েন ব্যবসায়ীসহ অন্তত ৮ লাখ শ্রমিক।
এদিকে, প্রতিনিধি টিমের পরিদর্শনের খবরে সিলেটের পাথর কোয়ারি-সংশ্লিষ্ট মানুষের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে। তারা মনে করছেন সরকারি প্রতিনিধি দলের পরিদর্শনের মাধ্যমে কোয়ারি খুলতে পারে। তবে সিলেটের প্রায় সবকটি কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলনে আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এর মধ্যে জাফলংকে পরিবেশ ও প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে পাথর উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ভূতত্ত্ব) আশরাফ হোসেন দৈনিক জালালাবাদকে জানান, এটা মুলত খনিজ সম্পদ অধিদপ্তরের কাজ। আমি জরিপ কর্মকর্তা হিসেবে এর একজন প্রতিনিধি হিসেবে এসেছি। এর বাইরে কোন মন্তব্য করতে তিনি রাজি হননি। এ ব্যাপারে জানতে দৈনিক জালালাবাদের পক্ষ থেকে খনিজ সম্পদ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মাহফুজ রহমানের নাম্বারে কল দিলে রিসিভ না করায় তাঁর বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।