এএসআই’র প্রতারণার অভিযোগে নারীর মামলা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৯:২৪:১৯ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : একাধিক বিয়ের তথ্য গোপন করে এক নারীকে বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা না দেয়া এবং যৌতুক দাবীর অভিযোগে সিলেটের আদালতে এক পুলিশের এএসআই’র বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মো. আবু নাঈম নামের ঐ পুলিশ সদস্য চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সিএমপির কর্ণফুলি মডেল থানায় কর্মরত। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া থানার জয়নগর গ্রামের মো. নুরুল ইসলামের ছেলে।
তার বিরুদ্ধে নেহার বেগম (৩০) নামে সিলেটের এক নারী তাকে বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা না দেওয়া এবং দাবীকৃত যৌতুক না দেওয়ায় প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন। সিলেট অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা দায়েরের পাশাপাশি সিএমপির কর্ণফুলি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবরে প্রতারণার লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
মামলা ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৩ মার্চ আড়াই লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য করে এএসআই আবু নাঈমের সঙ্গে চট্টগ্রামে কাজি অফিসে বিয়ে হয় নেহার বেগমের। বিয়ের আগে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। আবু নাঈমের একাধিক স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও তিনি সহজ-সরল নেহারকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে বিয়ে করেন। দুই জায়গায় তার আরও দুজন স্ত্রী রয়েছেন। এর মধ্যে শিরিন আক্তার নামের অপর স্ত্রী আবু নাঈমের বিরুদ্ধে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা দায়ের করেছেন।
নেহার বেগম মামলায় উল্লেখ করেন- বিয়ের পর বিভিন্ন সময় যৌতুক চেয়ে তার কাছ থেকে আড়াই লাখ টাকা নেন এএসআই আবু নাঈম। পরবর্তীতে আরও ৩ লাখ টাকা দাবি করলে তিনি দিতে রাজি না হওয়ায় তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেন। নির্যাতনের সময় নাঈম বলেন- টাকা না দিলে নেহারকে ডিভোর্স দিবেন। এরপর কর্মস্থলে গিয়ে তিনি আর নেহারের কোনো খোঁজ নেননি। ফোন বন্ধ পেয়ে একপর্যায়ে নেহার তার কর্মস্থলে গিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। কয়েকবার চেষ্টার পর তার সাক্ষাৎ পেলেও দুর্ব্যবহার করে তাকে তাড়িয়ে দেন এএসআই নাঈম। পরে বাধ্য হয়ে নেহার বেগম চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্ণফুলী থানায় অভিযোগ করেন ও সিলেটের আদালতে মামলা দায়ের করেন। অভিযোগের বিষয়ে জানতে এএসআই আবু নাঈমের নাম্বারে একাধিকবার কল দিলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।