কাঠালতলী-তেরাকুড়ি-শিমুলিয়া সড়ক বড়লেখায় স্বেচ্ছাশ্রমে সড়কের গর্ত ভরাট
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ৬:৫৯:০৪ অপরাহ্ন
বড়লেখা প্রতিনিধি: বড়লেখা উপজেলার কাঠালতলী-তেরাকুড়ি-শিমুলিয়া সড়কের সাইডিং বাজারের চলাচল অনুপযোগি খানাখন্দ আর রাস্তার গর্ত স্থানীয় এলাকাবাসি স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কার করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে কর্তৃপক্ষ তা সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি। এতে স্থানীয়রা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছিলেন।
কাজের উদ্যোক্তারা জানান, এই সড়কের বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় অসংখ্যা গর্ত রয়েছে। রাস্তাটি সংস্কারের জন্য তারা জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেও জানিয়েছিলেন। তাতে কারও সাড়া মেলেনি, কাজও হয়নি। এই অবস্থায় সরকারিভাবে সংস্কারের অপেক্ষা না করে স্থানীয় লোকজন চাঁদা তুলে সড়কের গর্ত ভরাট শুরু করেছেন। দিনের বেলা যানবাহনসহ মানুষের চলাচল থাকায় রাতের বেলা তারা কাজ করছেন। শনিবার রাত দশটা থেকে সাড়ে চারটা পর্যন্ত কাঠালতলী বাজার থেকে ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক দুলালের বাড়ি পর্যন্ত সড়কের কয়েকটি স্থানের গর্ত ভরাট করা হয়েছে। প্রায় ৩ কিলোমিটার এই সড়কটি গর্ত ভরাট করতে প্রায় এক লাখ টাকা প্রয়োজন। এখনও পর্যন্ত ৪০ হাজার টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে। বাকি টাকা স্থানীয়দের কাছ সংগ্রহ করে তারা সড়কটির গর্ত ভরাট করবেন বলে জানিয়েছেন।
জানা গেছে, কাঠালতলী-তেরাকুড়ি-শিমুলিয়া সড়কটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি)। সড়কটি উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউনিয়নের কাঠালতলী বাজার (বড়লেখা-মৌলভীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়ক) থেকে পশ্চিম দিকে গিয়ে সুজানগর ইউনিয়নের তেরাকুড়ির সঙ্গে মিশেছে। প্রায় তিন কিলোমিটার এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন অন্তত ১০টি গ্রামের মানুষ আসা-যাওয়া করেন। ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের যানবাহনও চলাচল করে। সড়কের বিভিন্নস্থানে কয়েকদফা বন্যায় পানি উঠে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। এলজিইডি সড়কটি মেরামতের উদ্যোগই নেয়নি। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। এতে একটু বৃষ্টি হলেই এসব গর্তে পানি জমে থাকে। তখন মানুষজনের হেঁটে চলা কষ্টকর হয়ে পড়ে। এছাড়া অটোরিকশা চালকসহ ছোট-বড় যানবাহন চালকদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। এই অবস্থায় সম্প্রতি সড়কটির গর্তগুলো ভরাটের কথা চিন্তা করেন ব্যাংকার নাজমুল ইসলাম। তিনি বিষয়টি স্থানীয় ব্যবসায়ী শাহিন আহমদকে জানান। শাহিন কয়েকজন অটোরিকশা চালককে বিষয়টি জানালে তারা এগিয়ে আসেন। এরপর সবাই মিলে এলাকার মানুষজনের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করেন। এ পর্যন্ত ৪০ হাজার টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত দশটা থেকে ব্যবসায়ী শাহিন আহমদের নেতৃত্বে রাজমিস্ত্রী আব্দুল আহাদ, অটোরিকশা চালক আব্দুর রুপ, সুমন আহমদ, বারহাম উদ্দিন, ইলিয়াস আহমদ ও বাবুল আহমদসহ কয়েকজন মিলে সড়কটির গর্ত ভরাট কাজ শুরু করেছেন। ওইদিন রাত সাড়ে চারটা পর্যন্ত কাঠালতলী বাজার থেকে ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক দুলালের বাড়ি পর্যন্ত সড়কের কয়েকটি স্থানের গর্ত ভরাট করা হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী প্রীতম সিকদার জয় বলেন, বরাদ্দ না আসায় রাস্তাটির কাজ করা যায়নি। কয়েকদিন আগে একজন ফোন দিয়ে বললেন সড়কটির গর্তগুলো ভরাট করবেন। তাকে মৌখিকভাবে ভরাটের অনুমতি দিয়েছি। বরাদ্দ পেলে সড়কটি সংস্কার করে দেওয়া হবে।