এইচপিভি টিকাদান কার্যক্রম সফলে উদ্বুদ্ধকরণ সভা
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ৮:২৮:৩১ অপরাহ্ন
জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে সিলেট নগরীর ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছাত্রী এবং ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত কিশোরীদের বিনামূল্যে এইচপিভি টিকাদান কার্যক্রম চলছে। ২৪ অক্টোবর থেকে নগরীতে এই কার্যক্রম চলছে। এই ক্যাম্পেইন সফলে সোমবার নগর ভবনের সভাকক্ষে সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড সচিবদের নিয়ে উদ্বুদ্ধকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম। সভায় ডা. জাহিদুল ইসলাম এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন সফলে সচিবদের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি জানান, সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকার ৩১ হাজারের অধিক কিশোরীকে টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে ক্যাম্পেইন চলছে। এই কার্যক্রম সফলে শিক্ষার্থীদের নিবন্ধনে সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
সভায় ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, জরায়ুমুখ ক্যান্সার হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসজনিত একটি প্রাণঘাতী প্রতিরোধযোগ্য রোগ। এই রোগ বাংলাদেশের নারীদের ক্যান্সারজনিত মৃত্যুতে দ্বিতীয়। অতিরিক্ত সাদা স্রাব, দুর্গন্ধযুক্তস্রাবে, অনিয়মিত রক্তস্রাব, শারীরিক মিলনের পর রক্তপাত, মাসিক বন্ধ হওয়ার পর পুনরায় রক্তপাত, কোমর, তলপেট, উরুতে ব্যাথা ইত্যাদি এই রোগের লক্ষণ। বাল্যবিবাহ, ঘন ঘন সন্তান প্রসাব, ধূমপায়ী, এইডস রোগী, প্রজনন স্বাস্থ্য এবং পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে সচেতন নন এমন নারীরা এই রোগের ঝুঁকিতে থাকেন। কিশোরী বয়সে এইচপিভি টিকা নিলে নারীদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায়।
এইচপিভি টিকা পাওয়ার যোগ্য ছাত্রী বা কিশোরীরা নিজেদের উদ্যোগে অথবা বিদ্যালয়ের সহযোগিতায় নিবন্ধন করতে পারবে। নিবন্ধনের পর ২৪ অক্টোবর থেকে বিদ্যালয়ের ক্যাম্পিং থেকে এবং যারা অধ্যায়নরত নয় তারা নগরীর ৪২ টি ওয়ার্ডের স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্র থেকে টিকা নিতে পারবে।
প্রসঙ্গত, সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ২৫২ জন নারী স্বাস্থ্যকর্মী টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এই কার্যক্রমে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ১ হাজার ৮ জন কর্মী। সিলেট নগরীর ৩৪৩টি বিদ্যালয়ে টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়া ৪২টি স্থায়ী টিাকাদান কেন্দ্রেও টিকা দেওয়া হবে। বিজ্ঞপ্তি