৯ দফা দাবিতে হকার ঐক্য পরিষদের স্মারকলিপি
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ৫:৫০:৪০ অপরাহ্ন
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রশাসক বরাবর ৯ দফা দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছেন বৈষম্য বিরোধী হকার ঐক্য পরিষদ নেতৃবৃন্দ।
রোববার দুপুরে সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরাদের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন তারা। এছাড়া সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনারের কাছেও এর অনুলিপি পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
স্মারকলিপিতে নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন, ২০২০ সালে সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নগরীর লালদীঘিরপারে তাদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। তিনি নানা সুযোগ সুবিধা দেয়ার আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। এরপর সদ্য অপসারিত মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীও লোভনীয় প্রতিশ্রুতি দিয়ে হকারদের সেখানে নিয়ে যান। কিন্তু একটু মাটি ভরাট ও একটি বাথরুম তৈরি ছাড়া তিনিও আর কোনো উন্নয়ন করেননি। অথচ মাটি ভরাট ও দোকান কোঠা নির্মাণের নামে হকারদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করেছেন।
এ অবস্থায় হকাররা পুঁজি হারিয়ে এখন খেয়ে না খেয়ে কোনোমতে দিনযাপন করেছেন। অনেকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন, কেউ কেউ আবার অসুস্থ অবস্থায় বর্তমানে মৃত্যুপথ যাত্রী। এ অবস্থা থেকে সিলেটর হকার ও তাদের পরিবারের সদস্যদের বেঁচে থাকতে সহযোগিতার জন্য তারা স্মারকলিপিতে ৯ দফা দাবির কথা উল্লেখ করেছেন।
দাবিগুলো হলো-হকারদের স্থায়ী পুনর্বাসন, লালদীঘিরপার অস্থায়ী হকার মার্কেটের প্রস্তাবিত সকল রাস্তা তৈরি ও মাঠের অসম্পূর্ণ কাজ সম্পাদন, পুনর্বাসনকৃত মাঠে স্থায়ী দোকান তৈরি ও পৃথক পৃথক নিজস্ব মিটারে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা, প্রতিদিন বিকেল ৫টা থেকে ফুটপাতে ব্যবসার সুযোগ দেয়া, সপ্তাহের শুক্র ও শনিবার ছুটির দিন ফুটপাতে ব্যবসার সুযোগ দেয়া, এ ক্ষেত্রে সিলেট সিটি কর্পোরেশন থেকে দৈনিক সপ্তাহিক, মাসিক বা বার্ষিক ফি নির্ধারণ ও আদায় করা যাতে সিসিক’র রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পায়। হকারদের নির্যাতন হয়রানি বন্ধ করা, অতীতে দোকান বরাদ্দে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি হয়েছে। তাই লটারির মাধ্যমে দোকান বরাদ্দ দেয়া, চাঁদাবাজী বন্ধ করা ও দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ফুটপাতে ব্যবসার মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহে সহযোগিতা করা। বিজ্ঞপ্তি