বড়লেখায় জোরপূর্বক গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগে মামলা
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ৬:২৮:৫৪ অপরাহ্ন
বড়লেখা প্রতিনিধি: বড়লেখা উপজেলার টেকাহালী গ্রামের প্রবাস ফেরত অসুস্থ রোগীর ক্রয়কৃত ভূমি থেকে জোরপূর্বক বিভিন্ন প্রজাতির মূল্যবান গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগে বড়লেখা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা হয়েছে।
রোববার ৬ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলাটি করেছেন ভুক্তভোগি মো. আব্দুল মনাফ। আদালত অভিযোগের সত্যতা ও যথার্থতা সম্পর্কে তদন্তপূর্বক এতদ্সংক্রান্ত পরীক্ষিত সাক্ষীগণের সাক্ষ্যগত বক্তব্যসহ ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।মামলার আসামিরা হলেন- একই গ্রামের এরশাদ মিয়া, মাহবুব আহমদ, মজনু মিয়া, ছইফ উদ্দিন, ছয়ফুর রহমান ও আবিদ আলী সহ অজ্ঞাত আরো ৫/৬ জন।
জানা গেছে, প্রবাস ফেরত মো. আব্দুল মনাফ ২০১৪ সালে বসতবাড়ি সংলগ্ন ৫ শতাংশ ভূমি ক্রয় করে বিভিন্ন প্রজাতির গাছগাছালি রোপণ করেন। রোপিত গাছগুলা বেশ বড়ও হয়েছে। পূর্ব শত্রুতার জেরে তারই ভাতিজা এরশাদ মিয়া, মাহবুব আহমদ, চাচাতো ভাই মজনু মিয়া, ছইফ উদ্দিন গংরা জোরপূর্বক বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে নেওয়ার হুমকি ধমকি দিতে থাকে। গত ২ নভেম্বর সঙ্গবদ্ধভাবে তারা প্রবাস ফেরত মো. আব্দুল মনাফের বেশ কয়েকটি গাছ কেটে নিয়ে যায় এবং আরো কিছু গাছ কেটে ফেলে রাখে। গাছ কাটায় ও নিয়ে যাওয়ায় বাধা দেওয়ায় এরশাদ মিয়া, মাহবুব আহমদ, মজনু মিয়া, ছইফ উদ্দিন গংরা তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে।
ভুক্তভোগি প্রবাস ফেরত মো. আব্দুল মনাফ জানান, তিনি বর্তমানে অত্যন্ত অসুস্থ। জনবল ও প্রভাব প্রতিপত্তি না থাকার সুযোগে তারা আমার ক্রয়কৃত ভূমির ব্যাপক গাছগাছালি জোরপূর্বক কেটে ফেলেছে। অন্তত ৯০ হাজার টাকার গাছ নিয়ে গেছে। বাধা দেওয়ায় প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে। আমি অসহায় মানুষ নিরুপায় হয়ে আদালতে গিয়েছি। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত এরশাদ মিয়া গংরা জানান, তারা গাছ কাটলেও নিয়ে যাননি। এগুলো যেভাবে ছিল ওভাবেই পড়ে রয়েছে। পুলিশ গিয়েও দেখে এসেছে। তাদের দাবি এজমালি রাস্তার ভূমি থেকে তারা গাছ কেটেছেন।
থানার ওসি মো. আব্দুল কাইয়ুম জানান, আদালত থেকে পাঠানো মামলাটি তদন্তের জন্য একজন এস.আইকে দায়িত্ব দিয়েছেন। আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক যথাসময়ে তদন্ত প্রতিবেদন বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হবে।