গুম কমিশনে ১৬শ অভিযোগ সবচেয়ে বেশি র্যাবের বিরুদ্ধে
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ৭:২২:১৯ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক: গুম কমিশনে ১৬শ’ অভিযোগ পড়েছে। এর মধ্যে ৩৮৩টি গুমের অভিযোগ যাচাই বাছাই করেছে কমিশন। এসব অভিযোগের মধ্যে র্যাবের বিরুদ্ধে ১৭২, ৩৭টি সিটিসি, ডিবি ৫৫টি, ডিজিএফআই ২৬টি, পুলিশ ২৫টি এবং অন্যান্য ভাবে গুমের ঘটনা ৬৮টি। ঘটনা তদন্তে গিয়ে এসব বাহিনীর ৮টি গোপন বন্দিশালা পেয়েছে কমিশন। যেখানে বছরের পর বছর এসব গুম হওয়া ব্যক্তিদের রেখে নির্যাতন করা হতো।
মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে গুম কমিশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন। কমিশন জানিয়েছে, এসব গুমের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাত সদস্যকে ডাকা হয়েছে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। পর্যায়ক্রমে অভিযুক্ত অন্যদেরও ডাকা হবে।
কমিশন অভিযোগ করেন, গুম হওয়া ব্যক্তিদের যেসব গোপন বন্দিশালায় রেখে নির্যাতন করা হতো, সেগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে। আলামত নষ্ট করা হয়েছে। তবে যারা আলামত নষ্ট করছেন, তাদের সতর্ক করেছে কমিশন। যারা আালমত ধ্বংস করছেন, তারা গুমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সহযোগী হিসেবে বিবেচিত হবেন বলে সতর্ক করা হয়েছে। আলামত ধ্বংস না করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে কমিশন।
গত ২৭ আগস্ট ঐ গুম কমিশন গঠন করে সরকার। এই কমিশনের কাছে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে গুমের ঘটনার অভিযোগ জানানোর সুযোগ ছিল কমিশনে। গত ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত গুমের অভিযোগ জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা।
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে গুমের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকারকর্মী নূর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাবিলা ইদ্রিস ও মানবাধিকারকর্মী সাজ্জাদ হোসেন।