চা শ্রমিক বিক্ষোভ অব্যাহত : কঠোর হুঁশিয়ারি
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ৯:২৮:৫২ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : কর্মবিরতি দিয়ে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন সিলেটের চা শ্রমিকরা। ৭ সপ্তাহের বকেয়া বেতনের দাবীতে বিক্ষোভে উত্তাল সিলেটের চা বাগান এলাকা। টানা ১৫ দিন কর্মবিরতির পর মঙ্গলবার বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন চা শ্রমিকরা। চা শ্রমিকদের এই আন্দোলনে সংহতি ও একাত্মতা পোষণ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরাও।
মঙ্গলবার বিকেল ৩টা থেকে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মূল ফটকের সামনে আয়োজিত সমাবেশে যোগ দেন লাক্কাতুরা, কেওয়াছড়া ও দলদলি চা বাগানের কয়েক’শ শ্রমিকরা। এসময় দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
মঙ্গলবার দুপুর থেকে বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দিতে চা শ্রমিকরা জড়ো হতে থাকেন সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মূল ফটকের সামনে। বেল ৩টার দিকে কয়েক’শ শ্রমিক স্টেডিয়ামের সড়কে অবস্থান নেন।
এসময় বিক্ষোভে এসে যোগ দেন ন্যাশনাল টি কোম্পানির লাক্কাতুরা, কেওয়াচড়া, দলদলি চা বাগানের শত শত শ্রমিক। শান্তিপূর্ণ এই কর্মসূচিতে বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ অংশ নেন। এসময় তারা বেতন নিয়ে টালবাহানা, চলবে না, চলবে না/বেতন ভাতা না পেলে, রাজপথ ছাড়বো না/মালিকের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
আন্দোলনরত শ্রমিকরা বলেন, ৭ সপ্তাহের বেতন না পাওয়ায় ঘরের চুলায় আগুন জ্বলছে না। আটার রুটি খেয়ে আর ক’দিন চলা যায়। অনেকেই লাকড়ি কুঁড়িয়ে অল্প দামে তা বিক্রি করে খরচাপাতি জোগাচ্ছেন। নিঃশর্তে বেতনভাতা পরিশোধ না করলে আরো তীব্র আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।
চা শ্রমিকদের এই কর্মসূচিতে গিয়ে একাত্মতা পোষণ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট মহানগর বিএনপির সদ্য সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিফতাহ্ সিদ্দিকী। তিনি বলেন, ‘চা শ্রমিকগণ আমাদেরই অংশ। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে তাদের দাবিগুলো মেনে নেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। আমি ইতোমধ্যে সিলেটে জেলা প্রশাসকের সাথে এ বিষয়ে কথা বলেছি। তিনি আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন খুব শীঘ্রই এর একটা সমাধান হবে।
সমাবেশ শেষে বিপুলসংখ্যক শ্রমিকেরা এয়ারপোর্ট রোডে এক বিশাল মিছিল বের করেন। মিছিলটি এয়ারপোর্ট অভিমুখে কিছুদুর গিয়ে ফের লাক্কাতুরা ন্যাশনাল টি কোম্পানির ফটকে এসে শেষ হয়।