সরকার ভ্রমণপিপাসুদের সিলেটমুখী করতে চায়
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ৭:২৪:৪০ অপরাহ্ন
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের বলেছেন, সরকার ভ্রমণপিপাসুদের সৌন্দর্যের লীলাভূমি প্রকৃতি কন্যা সিলেটমুখী করতে চায়। সম্ভাবনাময় এ পর্যটন খাতকে এগিয়ে নিতে স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করতে সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ দরকার।
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের উদ্যোগে জেলা প্রশাসন ও বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের আয়োজনে বৃহস্পতিবার জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে সিলেটের পর্যটন প্রসার ও বিকল্প-কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে পর্যটনশিল্পের ভূমিকা শীর্ষক স্টেকহোল্ডার কনসালটেশন সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী এনডিসির সভাপতিত্বে কনসালটেশন সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ, যুগ্মসচিব) আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান. আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান মি. এলেক্স, সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ প্রমুখ। সিলেটের নতুন নতুন পর্যটন স্পটে সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনাসহ উপস্থাপনা করেন স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক সুবর্ণা সরকার। রক মিউজিয়ামের কাজের অগ্রগতি নিয়ে উপস্থাপনা করেন গোয়াইনঘাটের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তৌহিদুল ইসলাম।
স্টেকহোল্ডার কনসালটেশন সভায় আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের বলেন, সিলেটের দর্শনীয় স্থানে পর্যটকবৃন্দ যেসব সমস্যায় পড়েন সেগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা করতে পারলে তরুণদের কর্মসংস্থান বাড়বে। বৈচিত্র্যপূর্ণ পর্যটন আকর্ষণ সমৃদ্ধ সিলেটে আড়ালে থাকা নতুন নতুন দর্শনীয় স্থানসমূহ দেশ ও দেশের বাইরে পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতে হবে। জেলা প্রশাসন ও বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সমন্বয়ে ১৫ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ ভ্রমণ গাইড উন্মুক্ত করা এবং সিলেটের প্রবেশদ্বারে ‘আই লাভ সিলেট’ লেখা স্থাপনা নির্মাণের আশ্বাস দিয়ে তিনি আরো বলেন, সিলেটের কমিউনিটিভিত্তিক পর্যটনশিল্প বিকাশে যোগাযোগ ব্যবস্থা, পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা ও স্যানিটেশনের ব্যবস্থা উন্নয়নে কাজ করা হবে।
সভায় বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সিলেটের পর্যটন প্রসার ও বিকল্প-কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে ক্যাম্পিং, রিভার কুজ, এগ্রি ট্যুরিজম, স্থানীয় পণ্য বিক্রির শপিং সেন্টার, বৈচিত্রময় স্থানীয় খাবার রেস্টুরেন্টসহ একগুচ্ছ সুপারিশমালা উপস্থাপন করেন। বিজ্ঞপ্তি