সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থার সাময়িক নিরসন
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ৯:৩৬:৪১ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: ভিসি বিরোধী আন্দোলনে সিলেট মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ে চলমান অচলাবস্থার সাময়িক নিরসন হয়েছে। বৃহস্পতিবার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের মুখে সেনাবাহিনী, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের উপস্থিতিতে ১৫ দিনের মধ্যে সংকট সমাধানে ভিসির আশ^াসের ভিত্তিতে আন্দোলন স্থগিত হয়।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের পরও বহাল তবিয়তে রয়েছেন সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্কিত ভিসি অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন। শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর প্রথম দিন বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে আসলে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ২ ঘন্টা অবরোধের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশ্ববিদ্যালয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সেই বৈঠকে ১৫ দিনের মধ্যে ভিসি সিন্ডিকেট সভা করে কর্মকর্তাচারীদের বকেয়া বেতন ভাতা ও চাকুরী স্থায়ীকরণের উদ্যোগ গ্রহণের আশ^াস দিয়েছেন। এই আশ্বাসের ভিত্তিতে তারা আন্দোলন স্থগিত করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিযোগ, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে লাপাত্তা ছিলেন ভিসি অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন। বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করেও দেখা মেলেনি তার।
তাদের দাবি, বৃহস্পতিবার সকালে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে গুরুত্বপূর্ণ নথি নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে ক্যাম্পাসে অবস্থান নেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিষদের সভাপতি আব্দুস সামাদ চৌধুরী বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক বলতে কেউ নেই। ভিসি, রেজিস্ট্রার ও কোষাধ্যক্ষ তিনজনই লাপাত্তা। যুবলীগ-ছাত্রলীগকে নিয়ে ভিসি ক্যাম্পাসে আসার খবর পেয়ে সবাই আমরা অবস্থান নিই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের লোকজন ক্যাম্পাসে আসেন। তারা এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।
জানা গেছে, ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। পরে নাম পাল্টে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় নামকরণ করে আওয়ামী লীগ সরকার। পরবর্তীতে ৫ আগস্টের পর আবারো সিলেট মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয় নামকরণ করে অন্তর্বর্তীকালিন সরকার।
এ ব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া কর্মকর্তা উপ কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম দৈনিক জালালাবাদকে বলেন, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ভিসি আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সিন্ডিকেট সভা ডেকে বিষয়টি সমাধানের আশ^াস দিয়েছেন। এর প্রেক্ষিতে আন্দোলনকারীরা চলমান আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন।