কারা স্থান পেতে পারেন ট্রাম্পের মন্ত্রিসভায়
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫০:৩১ অপরাহ্ন
জালালাবাদ রিপোর্ট : মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের পর রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বাছাইয়ের প্রক্রিয়া আগামী সপ্তাহগুলোতে শুরু করবেন।প্রতিরক্ষা, গোয়েন্দা, পররাষ্ট্র, বাণিজ্য, অর্থনীতি, অভিবাসনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দেখভালের জন্য ট্রাম্পের পছন্দের সম্ভাব্য তালিকায় কোন কোন ব্যক্তি স্থান পেতে পারেন, তার একটা ধারণা দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
সম্ভাব্য তালিকা : ট্রাম্পের একজন গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক উপদেষ্টা বেসেন্ট। তাঁকে অর্থমন্ত্রী (ট্রেজারি সেক্রেটারি) হিসেবে বেছে নিতে পারেন ট্রাম্প। দীর্ঘদিনের হেজ ফান্ড বিনিয়োগকারী বেসেন্ট ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কয়েক বছর শিক্ষকতা করেছেন। ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর উষ্ণ সম্পর্ক রয়েছে। ট্রেজারি সেক্রেটারি হিসেবে ট্রাম্পের বিবেচনায় আসতে পারেন জন পলসন। পলসন একজন ধনকুবের। তিনি হেজ ফান্ড ব্যবস্থাপক। ট্রাম্পের একজন অন্যতম দাতা পলসন।
ল্যারি কুডলোকেও ট্রেজারি সেক্রেটারি পদে দেখা যেতে পারে। তিনি ফক্স বিজনেস নেটওয়ার্কের একটি অনুষ্ঠানের উপস্থাপক।রবার্ট লাইথাইজারকে ট্রেজারি সেক্রেটারি করা হতে পারে। তিনি ট্রাম্পের একজন অনুগত ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত।ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছিলেন লাইথাইজার। ট্রাম্পের সম্ভাব্য ট্রেজারি সেক্রেটারি হতে পারেন হাওয়ার্ড লুটনিক। তিনি ট্রাম্পের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণসংক্রান্ত কার্যক্রমের কো-চেয়ার।
রিচার্ড গ্রেনেলকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা করতে পারেন ট্রাম্প। তাঁর পররাষ্ট্রনীতি-সম্পর্কিত উপদেষ্টাদের মধ্যে আছেন গ্রেনেল। তাঁকে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। রবার্ট ও’ব্রায়েনকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী করতে পারেন ট্রাম্প। তাঁর প্রথম মেয়াদের সর্বশেষ (চতুর্থ) জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ছিলেন তিনি। ট্রাম্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে চলছেন ও’ব্রায়েন। তাঁরা দুজন প্রায়ই জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কথা বলেন। গত মে মাসে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে তিনি সাক্ষাৎ করেছিলেন।
বিল হ্যাগারটিকেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী করা হতে পারে। টেনেসির এই সিনেটর ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের দায়িত্ব গ্রহণসংক্রান্ত কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে জাপানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন হ্যাগারটি। হ্যাগারটির নীতি ট্রাম্পের নীতির সঙ্গে বেশ সামঞ্জস্যপূর্ণ।
এছাড়াও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মার্কো রুবিওকে বেছে নিতে পারেন ট্রাম্প। রুবিও ফ্লোরিডা থেকে নির্বাচিত সিনেটর। ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হতে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। মাইক ওয়াল্টজকে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদে দেখা যেতে পারে। তিনি ফ্লোরিডা থেকে নির্বাচিত কংগ্রেস সদস্য। ওয়াল্টজ মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে নিজেকে একজন চীনের অন্যতম প্রধান কট্টর সমালোচক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে মাইক পম্পেওকেও বেছে নিতে পারেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে পম্পেও সিআইএর পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। পরে তাঁকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী করেছিলেন ট্রাম্প।
টম কটন হার্ভার্ড কলেজ ও হার্ভার্ড ল স্কুলে পড়েছেন। তিনি সেনাবাহিনীতে কাজ করেছেন। ট্রাম্প দাতাদের পছন্দের মানুষ আরকানসাসের এই সিনেটর। তাঁকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে বিবেচনা করতে পারেন ট্রাম্প।
জাতীয় নিরাপত্তাসংক্রান্ত কোনো পদে আসতে পারেন কিথ কেলগ। তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল। তিনি ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের চিফ অব স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
অন্যান্য পদের সম্ভাব্য প্রার্থী :
যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি-বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে টম হোমানকে বিবেচনায় নিতে পারেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে তাঁর প্রশাসনে কাজ করেছিলেন তিনি। ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হিসেবে দেড় বছর দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি।
একই পদে বিবেচনায় আসতে পারেন চাদ ওলফ। তিনি ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে প্রায় ১৪ মাস হোমল্যান্ড সিকিউরিটি-বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী ছিলেন। এ ছাড়া এই পদে মার্ক গ্রিনকেও নিয়োগ দিতে পারেন ট্রাম্প। গ্রিন বর্তমানে প্রতিনিধি পরিষদের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি-বিষয়ক কমিটির চেয়ারমানের দায়িত্ব আছেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল পদে জন র্যাটক্লিফকে বাছাই করতে পারেন ট্রাম্প। তিনি সাবেক কংগ্রেস সদস্য ও প্রসিকিউটর। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে তিনি ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এই পদে বিবেচনায় আসতে পারেন সাবেক প্রসিকিউটর মাইক লি। তিনি উটাহ অঙ্গরাজ্যের বর্তমান সিনেটর।
হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের চিফ অব স্টাফ পদে সুসি উইলসকে দেখা যেতে পারে। তিনি ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচার কার্যক্রমের সহব্যবস্থাপক।