কানাইঘাটে ছেলের সামনে পিতাকে কুপিয়ে হত্যা
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ৬:৪৯:১৫ অপরাহ্ন
কানাইঘাট প্রতিনিধি: কানাইঘাটে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রবাসী ছেলের সামনে পিতাকে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউনিয়নের ধলিবিল দক্ষিণ নয়াগাও গ্রামে। থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হত্যাকান্ডের মূল ঘাতক সুলতান আহমদ (৫০) কে গ্রেফতার করেছে। এ সময় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ধারালো রামদা উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের স্বজনরা জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ধলিবিল দক্ষিণ নয়াগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের পুত্র ফয়জুল হোসন (৬৮) কে আপন চাচাতো ভাই মৃত আব্দুল জলিলের পুত্র সুলতান আহমদ বসতবাড়িতে নৃশংসভাবে ধারালো রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ঘটনাস্থলে হত্যা করে। হত্যাকান্ডের পর ঘাতক সুলতান আহমদ তার চাচাতো ভাই ফয়জুল হোসেনকে হত্যা করেছে বলে এলাকাবাসী ও থানা পুলিশের সামনে বীরদর্পে স্বীকার করে।
স্থানীয়রা জানান, ফয়জুল হোসেন এর সাথে সুলতান আহমদ এর বসতবাড়ির জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে গত কয়েকদিন থেকে ধারালো দা নিয়ে সুলতান আহমদ চাচাতো ভাই ফয়জুল হোসেনকে হত্যার পরিকল্পনা করছিল। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ফয়জুল হোসেন তার প্রবাসী ছেলে আলী রাজাকে নিয়ে নিজ বসতঘরে ছিলেন। তখন ধারালো রামদা নিয়ে সুলতান আহমদ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ফয়জুল হোসেন ও তার প্রবাসী ছেলেকে দা নিয়ে কোপানোর চেষ্টা করে। তখন প্রবাসী আলী রাজা প্রাণ রক্ষার্থে সরে গেলে সুলতান আহমদ রামদা দিয়ে ফয়জুল হোসেনের মাথা ও গলায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন সুলতান আহমদকে তার বসতঘরে ঘেরাও করে রেখে থানা পুলিশকে খবর দেয়। হত্যাকান্ডের খবর পেয়ে থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে সুলতান আহমদকে নিজ বসতঘর থেকে গ্রেফতার করে এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা রামদা জব্দ করে।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে কাতার প্রবাসী আলী রাজা বাদী হয়ে সুলতান আহমদসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আউয়াল জানিয়েছেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সুলতান আহমদ তার চাচাতো ভাই ফয়জুল হোসনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে এবং সে নিজেও হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হচ্ছে।স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, আপন চাচাতো ভাই ফয়জুল হোসেনের হত্যাকারী সুলতান আহমদ এলাকার বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত ছিল। সে সবসময় এলাকায় দা নিয়ে বেপরোয়াভাবে চলাফেরা করত। তার ভয়ে আপন ভাই ও চাচাতো অপর ভাইয়েরা বাড়ি ছেড়ে সিলেট শহরে বসবাস করছে।