গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স লোকবল সঙ্কটে ব্যহত স্বাস্থ্যসেবা
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ৯:১৩:২৭ অপরাহ্ন
মোঃ আব্দুল মালিক, গোয়াইনঘাট: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার একমাত্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সঙ্কটে সেবা কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। ৫০ শয্যার কমপ্লেক্সে আউটডোরে নেই কোন ডাক্তার। হাসপাতালে নোংরা পরিবেশ বিরাজ করছে পরিচ্ছন্নতা কর্মীর অভাবে।
৩ লক্ষ ৫৫ হাজার জনঅধ্যুষিত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ২০১১ সালে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও উন্নত সেবা পায়নি এলাকাবাসী। এখানে চিকিৎসক পোস্টিং হলেও মন্ত্রণালয়সহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে সহজেই বদলী হন চিকিৎসকরা। ফলে শূন্যপদ আর সহজে পূরণ হয়না। চিকিৎসা সেবায় বঞ্চনার অবসান হয় না জনসাধারণের।
কমপ্লেক্সে জুনিয়র কনসালটেন্টের ১০টি পদসহ মোট ৩০টি পদ থাকলেও বর্তমানে ইউএইচওসহ ৬ জন চিকিৎসক রয়েছেন। ১০ জন জুনিয়র কনসালটেন্টের মধ্যে শুধু মেডিসিন, এনেস্থেশিস্ট এখানে দায়িত্বে রয়েছেন। তারা সপ্তাহে ২/১ দিন আসেন। এছাড়া কার্ডিওলজি কনসালটেন্ট ডা. গুলশান আরা কামাল সংযুক্তিতে ফেঞ্চুগঞ্জে রয়েছেন। সহকারী সার্জন (ইউনানি) ডাঃ মোঃ আনিসুল হোসেন ২০১৪ সালে যোগদান করেই সংযুক্তিতে সিলেট সদর হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করছেন। গোয়াইনঘাটবাসীর জন্য অর্থোপেডিক্স, ইএনটি, গাইনি, যৌন ও চর্মসহ জরুরী ১০ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের স্থলে দু’জন রয়েছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ কিশোলয় সাহা বলেন, লোকবলের সঙ্কট রয়েছে। যারা আছেন তাদের মধ্যে ঢাকা ও সিলেটে ট্রেনিংয়ে রয়েছেন দু’জন। আরেকজনের বাবা মারাত্মক অসুস্থ থাকায় বাড়িতে গেছেন। শনিবার থেকে আউটডোরে চিকিৎসক থাকবেন।
এছাড়া এলাকাবাসীর অভিযোগ রয়েছে জরুরী বিভাগে ইএমও না থাকায় রোগীরা চিকিৎসকের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এখানে বেশীরভাগ সময় নার্স সাকমোরা রোগি দেখে ভর্তি দেন। পরিচ্ছন্নতাকর্মীর অভাবে হাসপাতালে বিরাজ করছে নোংরা পরিবেশ।
সম্প্রতি সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ জন্মেজয় দত্ত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এলে তার সাথে কথা হয় লোকবল সঙ্কট বিষয়ে। তিনি বলেন, ডাক্তার পোস্টিং, বদলী হয় মন্ত্রণালয় থেকে। স্থানীয় প্রশাসনের এখানে কিছু করার নেই। জানা যায়, সিলেটের ৪/৫টি উপজেলা ছাড়া অন্য উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক থাকতে চান না। এছাড়া এখানে প্রথম এক্সরে, ইসিজি, আলট্রা চালু করেছিলেন বর্তমান স্বাস্থ্য প্রশাসক কিন্তু লোকবলের অভাবে ইতিমধ্যে এক্সরে সেবা বন্ধ হয়ে গেছে। দন্ত বিভাগে সরকার এক্সরে, চেয়ারসহ মূল্যবান যন্ত্রপাতি দিলেও ২০২২ সালের বন্যার কারণে বিনষ্ট রয়েছে। নেই দন্ত সার্জনও।
এলাকাবাসীর প্রত্যাশা সরকার গোয়াইনঘাটবাসীর মৌলিক চাহিদা পূরণে কমপ্লেক্সে জরুরী ভিত্তিতে শুন্যপদ পূরণ করে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে আন্তরিক হবেন।