তামাবিলে স্থলবন্দরে ভারতীয় ট্যাংকলরিতে আগুন
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ৮:৪০:৫৫ অপরাহ্ন
জৈন্তাপুর প্রতিনিধি: সিলেট-তামাবিল স্থলবন্দরে ভারত থেকে আমদানিকৃত মিথানলের একটি ট্যাংকলরীতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। তবে এ সময় আরো কয়েটি মিথানলের গাড়ি দূরে অবস্থান করছিল। অগ্নিকান্ডের ট্যাংকলরীতে মিথানল না থাকায় ভয়াবহ দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে তামাবিল স্থলবন্দরে কর্মরত হাজার হাজার শ্রমিক ও আশপাশের আবাসিক এলাকার বসতঘর সহ সহস্রাধিক মানুষের জীবন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুর ১:৩৫ মিনিটে ভারতীয় ট্যাংকলরী (NLO-LA-H 9493) তে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হলে তামাবিল স্থলবন্দর থেকে জৈন্তাপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশনে খবর দেয়া হয়, কিন্তু ১২ কিমি দুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ী আসতে বিলম্ব হলে তাৎক্ষণিকভাবে ভারতের ডাউকি স্থলবন্দর থেকে অগ্নিনির্বাপক গাড়ী বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে আধঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
তামাবিল স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক আমিনুল হক বলেন, গত ৫ নভেম্বর বাংলাদেশের মিথানল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সামুদা স্প্রেক ক্যামিকেল লিমিটেডের নামে ৭টি গাড়ী তামাবিল স্থলবন্দরে প্রবেশ করে, পরে ল্যাবরেটরী পরীক্ষা শেষে শনিবার বাংলাদেশের ট্যাংকলরীতে ক্যামিকেলগুলো স্থানান্তর করা হয়। প্রাতটি ভারতীয় ট্যাংকলরীতে ২৮-৩০ টন মিথানল থাকে বলে তিনি জানান। তিনি আরো বলেন, আগুন লাগা গাড়ীটি সাতটি ট্যাংকলরীর মধ্যে সর্বশেষ গাড়ী ছিলো। অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত কিভাবে হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুড়ে যাওয়া গাড়ীর চালক সারভান বলেছে গাড়ীর ভিতরে ওয়্যারিং শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়, বাকিটা তদন্ত সাপেক্ষে যানানো হবে।
অপর এক কর্মকর্তা জানান, গত এক সপ্তাহ আগে এসব মিথানল আমদানী করা হয়েছিল, কিন্তু আইনি জটিলতায় তা খালাস হতে বিলম্ব হচ্ছিল। এছাড়া সিলেট তামাবিল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ মিথানল রাখার মত পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেমিক্যাল ল্যাব, ফায়ার ফাইটিং সহ অন্যান্য নিরাপদ পরিবেশের সুযোগ-সুবিধা না থাকায় মিথানল আমদানি ঝুঁকিপূর্ণ মনে করেন স্থানীয় আমদানীকাররা। এদিকে মিথানলের গাড়িতে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ও স্থলবন্দরে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা না থাকায় স্থলবন্দর শ্রমিকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া।
এ বিষয়ে তামাবিল কয়লা চুনাপাথর আমদানি রপ্তানি কারক গ্রুপের সহ সভাপতি আব্দুল মান্নান বলেন, বিগত ছয় মাস পূর্বে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের নিকট পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা নিশ্চিত করে ক্যামিকেল আমদানির বিষয়ে লিখিত আবেদন জানানো হয়েছিলো। কিন্তু এখন পর্যন্ত কার্যকর কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যাচ্ছে না। দ্রুত সময়ের মধ্যে পুনরায় ক্যামিকেল আমদানির আগ পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা আহবান জানাই।