হাসিনা পালিয়ে গিয়েও দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন : মুক্তাদির
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ নভেম্বর ২০২৪, ৬:২১:৪০ অপরাহ্ন
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেছেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গিয়েও দেশকে অস্থিতিশীল করতে গভীর ষড়যন্ত্র করছেন। যেকোনো ষড়যন্ত্র রুখে দিতে দলের নেতাকর্মী ও দেশবাসী সর্বদা সজাগ রয়েছে। যারা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ধ্বংস করতে আসবে, অত্যন্ত সজাগ ও সচেতন থেকে তাদের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। এখানে গণতন্ত্র ছাড়া ফ্যাসিবাদ সুযোগ পাবে না। বিগত ১৭ বছরে পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগ দেশের সব রাজনৈতিক কাঠামো ধ্বংস করেছে। তারা দেশকে করেছিল একটি মাফিয়া রাষ্ট্র।
স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ভিডিও বার্তাসহ বিভিন্নভাবে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে রোববার সিলেট মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী চৌহাট্টা পয়েন্টের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। বিক্ষোভ মিছিলটি কোর্ট পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে চৌহাট্টা পয়েন্টে গিয়ে সমাবেশের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়।
খন্দকার মুক্তাদির আরো বলেন, আওয়ামীলীগ দেশের অর্থনীতি ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। ওরা আমাদের অনেক নেতাকর্মীকে হত্যা, গুম করেছে। ৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছিল পতিত আওয়ামী লীগ। আজকের বিক্ষোভ প্রমাণ করবে বাংলাদেশে সবচেয়ে শক্তিশালী রাজনৈতিক দল জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে বারবার রক্ষা করেছে বিএনপি। বাংলাদেশের রাখাল রাজা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দেশপ্রেমিক ছাত্র-জনতা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে পরাজিত ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদকে ধ্বংস করে দিয়েছে। সেদিন নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। ২০২৪ সালে জনগণ আরেকটা অভ্যুত্থান দেখেছে। এই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালিয়েছেন। কিন্ত তার দোসররা এখনো রয়েছে। তাই তাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করতে হবে।
মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েছ লোদীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরীর পরিচালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি জিয়াউল হক জিয়া, আমির হোসেন, আব্দুল হাকিম, সাদিকুর রহমান সাদিক, আব্দুর রহিম মল্লিক, আফজল হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, সিলেট জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি একেএম তারেক কালাম, মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজিবুর রহমান নজিব, শাহ নেওয়াজ বক্ত চৌধুরী তারেক, আব্দুল ওয়াহিদ সুহেল, রেজাউল করিম আলো, আহমদ মনজুরুল হাসান মনজু, ফাতেমা জামাল রুজি, আবুল কালাম, রেজাউর রহমান রুজন, সাব্বির আহমদ, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান পাপলু, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাশেম, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কোহিনুর আহমদ, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ সাফেক মাহবুব, রফিকুল ইসলাম রফিক, সৈয়দ রহিম আলী রাসু, বেলায়েত হোসেন মোহন, তারেক আহমদ খান, সাইদুর রহমান হিরু, ডা. এম এ হক বাবুল, জেলা যুবদলের সভাপতি এডভোকেট মোমিনুল ইসলাম মুমিন, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মির্জা সম্রাট হোসেন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আফসর খান, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সুদীপ জ্যোতি এষ, সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী আহসান, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক দিলোয়ার হোসেন দিনার, আব্দুল মুনিম, দেওয়ান আরাফাত জাকি, ফয়েজ আহমদ মুরাদ, সবুর আহমদ, নাজিম উদ্দিন, আব্দুল মুনিম, লুৎফুর রহমান মোহন, আব্দুল হাদি মাছুম, সৈয়দ লোকমানুজ্জামান, মিজান আহমদ, আব্দুল আহাদ, মফিজুর রহমান জাবেদ, আব্দুল আজিজ লাকী, সালেহ আহমদ গেদা, দুলাল আহমদ, রেজাউর রহমান রুমন, সাব্বির আহমদ, জাহাঙ্গীর আলম জীবন, শফিক নূর, আব্দুল মালেক, মারুফ আহমদ, শামীম আহমদ লোকমান, রুবেল বক্স, মিনহাজ পাঠান, খুর্শেদ আহমদ, সৈয়দ রাজন, কয়েস আহমদ সাগর, সালাল উদ্দিন শামীম, জমজম বাদশা, রাজিব কুমার দেব, শাহীন আহমদ, ইকবাল কামাল, শাহীন আহমদ, নজরুল ইসলাম, লল্লিক আহমদ চৌধুরী, জমির উদ্দিন, অলিউর রহমান জনি প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি