দিরাইয়ে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানসহ গ্রেফতার ২
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ নভেম্বর ২০২৪, ৯:১৪:৪৬ অপরাহ্ন
দিরাই প্রতিনিধি: ট্রিপল মার্ডারসহ একাধিক মামলার আসামি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা হাফিজুর রহমান তালুকদারকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। এ সময় রায়হান মিয়া নামে ছাত্রলীগের এক নেতাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার দিবাগত রাতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। দুজনের গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সুনামগঞ্জ সদর থানায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আওয়ামী লীগের হামলার ঘটনায় দায়ের করা হত্যা চেষ্টা মামলায় তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দ’ুজনকেই আদালতের মাধ্যমে সুনামগঞ্জ জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
দিরাই থানা পুলিশ সুত্রে জানা যায়, দিরাই উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান তালুকদারের বিরুদ্ধে জারলিয়া জলমহাল নিয়ে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে তিন খুনের মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়ে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বলয়ের নেতা ছিলেন। ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে বিএনপিতে যোগ দেন। যোগদানের পরেই হাফিজুর রহমানকে দল ও জোটের সমর্থিত প্রার্থী ঘোষণা করেন সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির তৎকালীন আহবায়ক দিরাই শাল্লা আসনের সাবেক এমপি নাছির চৌধুরী। নাছির উদ্দীন চৌধুরীর ভোট ব্যাংক থাকায় বিএনপি- জামায়াতের জোটের সকল স্তরের নেতাকর্মী নির্বাচনী মাঠে থাকায় সহজে বিজয়ী হন হাফিজুর রহমান তালুকদার। এরপর তিনি দিরাই উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মনোনীত হন। কিছু দিন পর দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া ইউনিয়নের দলকুতুব গ্রামের একটি হত্যা মামলায় হাফিজুর রহমানকে আসামী করা হচ্ছে খবর পেয়ে তিনি আবারো আওয়ামী লীগে চলে যান। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় এ মামলার চার্জশীট থেকে তার নাম বাদ দেওয়া হয়। কিন্তু কয়েকদিন পরই জারলিয়া জলমহাল নিয়ে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের বন্দুকযুদ্ধে তিন খুনের মামলায় আসামি হয়ে দীর্ঘদিন ফেরারী জীবন যাপন করেন হাফিজুর রহমান তালুকদার। এর পরের উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ হাফিজুর রহমান তালুকদারকে মনোনয়ন না দিলে তিনি সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বলয় ছেড়ে দেন। সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি জয়া সেনগুপ্তার বিরুদ্ধে নৌকার প্রার্থী সাবেক আইজিপির ভাই আল-আমিন চৌধুরীর সাথে নির্বাচনে মাঠে কাজ করেন।