অর্থ উপদেষ্টার স্বীকারোক্তি : বাজারে বিশৃঙ্খলায় কমছে না জিনিসপত্রের দাম
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮:০৯:০৩ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক: আমদানি পর্যায়ে নিত্যপণ্যের শুল্ক কমানো হলেও ‘বাজারে বিশৃঙ্খলার কারণে’ দাম কমছে না বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বুধবার পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) আয়োজিত ‘পিকেএসএফ দিবসের’ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বাজারে এতভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে, মানুষ বলছে দাম কমছে না, অথচ এনবিআর অনেক সুবিধা দিয়েছে।দুই অংকে পৌঁছে যাওয়া মূল্যস্ফীতিতে লাগাম দিতে সরকার আমদানি পর্যায়ে চালের পাশাপাশি পেঁয়াজ, আলু আর ভোজ্যতেলের শুল্ক কমিয়েছে। কিন্তু তার কোনো প্রভাব খুচরা বাজারে নেই। বরং গত এক মাসে আলুর দাম কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা, চালের দাম কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা, খোলা সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১০ থেকে ১২ টাকা, পেঁয়াজের দাম ২৫ থেকে ৩৫ টাকা, রসুনের দাম ২০ থেকে ৪০ টাকা বেড়েছে।
এসব পণ্যের দর বৃদ্ধি স্বল্প আয়ের মানুষদের জীবন আরও কঠিন করে তুলেছে, কারণ স্বল্প আয়ের মানুষ তাদের খাদ্যের পেছনে ব্যয়ের বেশিরভাগ করেন এসব পণ্য কিনতেই। পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে গত অগাস্টে খাদ্য খাতে ১১ দশমিক ৩৬ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছিল, সেপ্টেম্বরে তা ছিল ১০ দশমিক ৪০; আর অক্টোবরে হয়েছে ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ মূল্যস্ফীতি।
কয়েক দিন আগেও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সামলানো সালেহ উদ্দিন আহমেদ পিকেএসএফের অনুষ্ঠানে বলেন, শুল্ক কমানো হলেও নিত্যপণ্যের দাম কমে না। মানুষ অধৈর্য হয়ে গেছে, এটাই স্বাভাবিক। প্রধান উপদেষ্টাকে বলা হয়েছে বাজারে দাম কমানো শুধু বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ না। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে দাম না কমার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে উপদেষ্টা বলেন, এখানে অনেকগুলো ফ্যাক্ট আছে। মানুষের বাজারে কষ্ট হচ্ছে ৫০০ টাকা নিয়ে গেল দুমুঠো শাক, অন্যান্য কিন্তু টাকা শেষ হলো। আমরা চেষ্টা করছি বাজারে দাম কমানোর জন্য।
অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, আমরা চলে গেলেও মানুষ মনে রাখবে। কারণ আমরা ভালো কাজ করছি। মানুষ বলবে স্যার আপনি ওখানে ছিলেন আপনি অমুক কাজ করছেন। অনেকে আমাদের ধন্যবাদ দেয় যে স্যার আপনি ট্যাক্সের অমুক কাজটি ভালো করেছেন। বন্ডের ট্যাক্স তুলে দেওয়ায় মানুষ আমাদের অনেক ভালো বলে। সঞ্চয়পত্রেও আমরা ভালো করেছি। এখন সঞ্চয়পত্রে স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিনিউ হচ্ছে। ভালো জিনিস যত তাড়াতাড়ি করা যায় ততই মঙ্গল।
আক্ষেপ করে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অনেক প্রতিষ্ঠান আছে কিন্তু আবার প্রতিষ্ঠান নেই, এমন অবস্থা। ভালো প্রতিষ্ঠানের বড় অভাব। বিল্ডিং আছে কিন্তু মানুষ নেই, সেখানে স্বচ্ছতার অভাব, জবাবদিহির অভাব। আমি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে প্রতিদিন কথা বলি যে, তুমি এটা দেখো।