এইচএসসিতে ফল পরিবর্তন সাড়ে ৪ হাজারের বেশীর, সিলেটে পরিবর্তন ৩৪ জনের
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৯:১৩:৪০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে সন্তুষ্ট না হয়ে খাতা চ্যালেঞ্জ করা ৪ হাজার ৫৯৯ জন পরীক্ষার্থীর ফলে পরিবর্তন এসেছে। এর মধ্যে নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৮৬ জন শিক্ষার্থী, ফেল থেকে পাশ করেছে ১ হাজার ১১ জন শিক্ষার্থী আর ফেল থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে এক শিক্ষার্থী। এদিক এইচএসসি পরীক্ষার খাতা পুনর্নিরীক্ষণে সিলেট শিক্ষা বোর্ডে ৩৪ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে। এরমধ্যে ফেল থেকে পাস করেছেন ১৫ জন। অন্যান্য ফল পরিবর্তন হয়েছে ১৯ জনের, তন্মধ্যে নতুন জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৫ জন।
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার খাতা পুনর্নিরীক্ষার ফল বৃহস্পতিবার প্রকাশ করা হয়। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড প্রকাশিত পুনর্নিরীক্ষণের ফল বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানা গেছে। বিপুলসংখ্যক পরীক্ষার্থীর ফলাফল পরিবর্তন হওয়া মানে প্রথম মূল্যায়নের সময় পরীক্ষকদের বেশ গাফিলতি ছিল বলে মনে করছেন শিক্ষাবিদরা।
শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ফল পুনর্নিরীক্ষণে একজন শিক্ষার্থীর লেখা খাতা নতুন করে আবার মূল্যায়ন করা হয় না। চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করলে উত্তরপত্রের চারটি বিষয় দেখা হয়। সেগুলো হলো উত্তরপত্রে সব প্রশ্নের সঠিকভাবে নম্বর দেওয়া হয়েছে কি না, প্রাপ্ত নম্বর গণনা ঠিক হয়েছে কি না, প্রাপ্ত নম্বর ওএমআর শিটে তোলা হয়েছে কি না এবং প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী ওএমআর শিটের বৃত্ত ভরাট করা হয়েছে কি না। এ চার জায়গায় কোনো ভুল হলে তা সংশোধন করে নতুন করে ফল প্রকাশ করা হয়।
এবার এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলে ‘অসন্তুষ্ট’ হয়ে এবার ১ লাখ ৯৮ হাজার ১১৬ জন পরীক্ষার্থী ৫ লাখ ৮ হাজার ১১৬টি খাতা পুনর্নিরীক্ষণ বা রিভিউয়ের আবেদন করে। এর মধ্যে সাধারণ ধারার ৯টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১ লাখ ৮৯ হাজার ৭৬৬ জন শিক্ষার্থী ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৪৮০টি খাতা পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করেছে। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষার ৭ হাজার ৮১৪টি খাতা পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করেছে ২ হাজার ৭১৪ জন। আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ৫ হাজার ৯০৮ জন পরীক্ষার্থী এইচএসসি ভোকেশনাল, বিএম ও ডিপ্লোমা ইন কমার্স পরীক্ষার ৬ হাজার ৮২২টি খাতা পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করে। এবারের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় যে বিষয়গুলোর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে ঐ বিষয়গুলোর ফল পুনর্নিরীক্ষণের সুযোগ শিক্ষার্থীরা পেয়েছে। তবে, সাবজেক্ট ম্যাপিং হওয়া বিষয়গুলোর ফল পুনর্নিরীক্ষণের সুযোগ ছিল না। গত ১৬ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন নেওয়া হয়।