সব ধর্মের মূলমন্ত্র হচ্ছে শান্তি : বিভাগীয় আন্তঃধর্মীয় সংলাপে বক্তারা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ৪:০৬:৪৮ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ পরিবার থেকেই শুরু করতে হবে। স্বার্থান্বেসী মহল ব্যক্তিস্বার্থে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য ধর্মীয় সহিংসতা উস্কে দেয়। এতে দেশ-জাতি ও সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিভিন্ন ধরণের অপপ্রচার গুজব থেকেই মূলত সহিংসতার সৃষ্টি। এক্ষেত্রে ধর্মীয় নেতৃবৃন্দকে কার্যকর ভুমিকা পালন করতে হবে। আমরা বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণে বিভক্ত হলেও সবাই বাংলাদেশী। আর সবধর্মের মূলমন্ত্র হচ্ছে শান্তি। যারা ধর্মীয় সহিংসতা উস্কে দিতে চায়। তাদের ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
শনিবার সকালে সিলেট নগরীর একটি অভিজাত রেষ্টুরেন্টের হলরুমে আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি সম্প্রসারণে শান্তি অঙ্গীকার প্রচারের জন্য সিলেট বিভাগীয় পর্যায়ে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বক্তাগণ উপরোক্ত কথা বলেন।
সম্মেলনে আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সিলেট বিভাগের ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, ছাত্র, এনজিও, মিডিয়া, আইনজীবী ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিগণ অংশ নেন। এই সম্মেলনের মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন সেক্টরের প্রতিনিধিদের সাথে ধর্মীয় নেতাদের মাধ্যমে কমিউনিটি পর্যায়ে বাস্তবায়িত আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি সম্প্রসারণে শান্তি অঙ্গিকারনামা স্বাক্ষর ও প্রচার কর্মসূচীর বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
সম্মেলনে আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সিলেট বিভাগের ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, ছাত্র, এনজিও, মিডিয়া, আইনজীবী ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিগণ অংশ নেন। এই সম্মেলনের মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন সেক্টরের প্রতিনিধিদের সাথে ধর্মীয় নেতাদের মাধ্যমে কমিউনিটি পর্যায়ে বাস্তবায়িত আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি সম্প্রসারণে শান্তি অঙ্গিকারনামা স্বাক্ষর ও প্রচার কর্মসূচীর বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘রূপসা’ ইউএসএআইডি (USAID) এবং ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (IRI)- এর আর্থিক সহায়তায় ‘নাগরিক’ প্রকল্পের আওতায় উক্ত বিভাগীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের মূল লক্ষ্য ছিল ধর্মীয় সম্প্রীতি প্রচার ও শান্তি অঙ্গীকার বাস্তবায়নে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের একত্রিত করা।
রূপসা’র নির্বাহী পরিচালক হিরন্ময় মন্ডলের সভাপতিত্বে ও পরিচালক (প্রোগ্রাম) শেখ মোস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ইসলামিক ফাউন্ডেশন সিলেটের পরিচালক মহিউদ্দিন মজুমদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ‘আইআরআই’ বাংলাদেশের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার অমিতাভ ঘোষ।
রূপসা’র নির্বাহী পরিচালক হিরন্ময় মন্ডলের সভাপতিত্বে ও পরিচালক (প্রোগ্রাম) শেখ মোস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ইসলামিক ফাউন্ডেশন সিলেটের পরিচালক মহিউদ্দিন মজুমদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ‘আইআরআই’ বাংলাদেশের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার অমিতাভ ঘোষ।
প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন সিলেটের উপ-পরিচালক শাহ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইমাম সমিতির সিলেট জেলা সভাপতি মাওলানা মোঃ এহসান উদ্দিন, বাংলাদেশ ব্রাহ্মণ সংসদ সিলেটের সভাপতি শ্রী অমৃতরাম অট্টাচার্য্য, প্রেসপ্রিটারিয়ান চার্চ নয়াসড়কের ফাদার রেভারেন্ড ফিলিপ সমাদ্দার, সিলেট বৌদ্ধ বিহারের ভাইস প্রেসিডেন্ট মহানাম ভিক্ষু, সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, সিলেট মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর হাফিজ মাওলানা মিফতাহুদ্দীন ও সিলেট আইডিয়াল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ড. মাওলানা এএইচএম সোলায়মান প্রমূখ।
সম্মেলনে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশকে আমরা সকলে মিলে এমন একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ হিসেবে গড়ে তুলবো, যেখানে সব ধর্মের মানুষ শান্তিতে বসবাস করবে এবং নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবে। যেখানে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সহানুভূতি এবং বোঝাপড়া প্রতিষ্ঠিত হবে। সামাজিকভাবে যেকোন অন্যায় মোকাবেলা এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য একসঙ্গে কাজ করবে। এই উদ্যোগটি দেশের বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে।
উপস্থিত প্রতিনিধিবৃন্দ আরো বলেন, বাংলাদেশে কোনদিন ধর্মীয় দাঙ্গা সৃষ্টি হয়নি। কখনো ব্যক্তি, কখনো রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য ধর্মীয় সহিংসতা উস্কে দিয়েছেন। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর সারাদেশে মুসলিম ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের মন্দিরসহ ধর্মীয় উপাসনালয় পাহারা এদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতির ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। আমরা চাই ধর্মীয় সম্প্রীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশে^র রোল মডেল হবে আর সিলেট হবে সারাদেশের মধ্যে রোল মডেল।