লিবিয়ায় নিখোঁজ ফারহানের সন্ধান চেয়ে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৮:২৯:৪৯ অপরাহ্ন
কানাইঘাট প্রতিনিধি: লিবিয়ায় নিখোঁজ ফারহান আহমদের সন্ধান চেয়ে কানাইঘাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার স্ত্রী রুমানা বেগম চৌধুরী। রোববার সকাল ১১টায় ক্লাব কার্যালয়ে তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় রুমানা বেগম চৌধুরী লিখিত বক্তব্যে বলেন, তার স্বামী ফারহান আহমদ সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সাতবাঁক ইউপির জুলাই মাঝরচটি গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের পুত্র। গত ২০২৩ সালের অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে ফারহান আহমদ জীবনের তাগিদে উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ায় যান। তাহার পার্সপোট নং এ-০৬৪৮২৫৮৯। সেখানে প্রায় ৯মাস বসবাসের পর হঠাৎ একদিন তাকে একটি অজ্ঞাত মানবপাচারকারী দালাল চক্র ধরে নিয়ে যায়। এরপর মুক্তিপণের আশায় দালাল চক্রটি ফারহান আহমদের উপর অমানসিক নির্যাতন শুরু করে এবং তার দেশে থাকা স্ত্রী রুমানা বেগম চৌধুরীর কাছে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বাংলাদেশী ৮ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। এতে ফরহান আহমদের পরিবার দারিদ্র হবার কারণে এত টাকা মুক্তিপণ দিতে পারেননি। যার কারণে দালাল চক্রটি নির্যাতনের মাত্রা আরো বাড়াতে ফারহান আহমদকে গাড়ি যোগে অজ্ঞাত একটি স্থানে নিয়ে যেতে রওয়ানা হয়। পথেমধ্যে সুযোগ বুঝে কৌশলে ফারহান আহমদ পালিয়ে গিয়ে একটি পুলিশ ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়। এই তথ্যটি ফারহান আহমদ গত ২৪ জুলাই বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় তার স্ত্রী রুমানা বেগম চৌধুরীর কাছে ফোন দিয়ে নিশ্চিত করেন। এই ফোনে ফারহান আহমদ তার স্ত্রী রুমানা বেগম চৌধুরীর কাছে আরো জানান যে, মানবপাচারকারী দালাল চক্রটি তার বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে। এমনকি তিনি হয়তো লিবিয়ার কোন জেলে যেতে পারেন। এরপর থেকে ফারহান আহমদের সাথে তার স্ত্রী কিংবা পরিবারের আর কোন যোগাযোগ নেই। সংবাদ সম্মেলনে রুমানা বেগম চৌধুরী বলেন তার স্বামী ফারহান আহমদ সত্যি কি জেলে রয়েছেন নাকি মানবপাচারকারী দালাল চক্র তাহার স্বামীর বড় ধরণের কোন ক্ষতি করেছে, এ বিষয়টি তিনি জানতে সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের সুদৃষ্টি কামনা করছেন এবং সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ত্রিপোলিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাস ও আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম)’র কাছে আবেদন জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন লিবিয়ায় নিখোজ ফারহান আহমদের দুই মেয়ে সন্তান, ফারহান আহমদের মা রাবেয়া বেগম ও বাবা আব্দুল কুদ্দুস।