এবারও সরকারি স্কুলে আবেদন বেশি
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৯:১২:৫৫ অপরাহ্ন
জালালাবাদ রিপোর্ট: প্রতিবছরই স্কুলে আবেদনের বেলায় বেসরকারি স্কুলের তুলনায় সরকারি স্কুলের দিকেই পাল্লা ভারী থাকে। বিশেষকরে শহর বা জেলা সদরের সরকারি স্কুলগুলো সন্তানদের ভর্তিতে সবচেয়ে বেশি আগ্রহী থাকেন অভিভাবকরা। এবারও তার ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে না।
অভিভাবকরা জানান খরচ, পড়াশোনার মান এবং পরিবেশ মিলে সবাই চান তাদের সন্তানকে সরকারি স্কুলে ভর্তি করতে। অনেক অভিভাবক জানান সরকারি প্রাইমারি স্কুলগুলোর মান যেমনই হোক হাই স্কুলগুলো এখনও সুনাম ধরে রেখেছে। তারা জানান সারাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং বেসরকারি হাই স্কুলগুলোতে পড়ার মান উন্নত করা গেলে সন্তানদের নিয়ে অভিভাবকদের উৎকণ্ঠা অনেক কমতো।
এদিকে দেশের সরকারি-বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন চলছে। গত ১২ নভেম্বর থেকে অনলাইনে এ আবেদন শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে সরকারি স্কুলগুলোতে। এ পর্যন্ত প্রথম ৫ দিনে (১২-১৬ নভেম্বর) মোট ৩ লাখ ৬১ হাজার ৪১৯ জন শিক্ষার্থী ৫ লাখ ৮৩ হাজার ৫৪৯টি স্কুলে ভর্তির জন্য পছন্দ দিয়েছে। সরকারি স্কুলের মধ্যে ১ লাখ ৮ হাজার ৬৬২টি আসন। এর বিপরীতে রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত আবেদন করেছে ৩ লাখ ৫৪ হাজার ৭৮৭ জন শিক্ষার্থী।
অন্যদিকে বেসরকারি স্কুলে ১ লাখ ৬ হাজার ৬৩২ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছে। তারা ২ লাখ ২৩৭টি স্কুল চয়েজ (পছন্দ) দিয়েছে। এই আবেদন প্রক্রিয়া চলবে আগামী ৩০ নভেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এবার আবেদন ফি ১১০ টাকা। টেলিটকের মাধ্যমে এ ফি পরিশোধ করতে হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) সূত্র জানায়, এ বছর সারাদেশের ৫ হাজার ৬২৫টি সরকারি-বেসরকারি স্কুলে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। এসব স্কুলে সর্বমোট ভর্তিযোগ্য শূন্য আসন ১১ লাখ ১৬ হাজার ৩৩৩টি।
প্রতি বছর ন্যায় এবারও সরকারি স্কুলে ভর্তিতে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। নিয়ম অনুযায়ী একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ ৫টি স্কুল চয়েজ (পছন্দ) দিতে পারবে। তবে এ পর্যন্ত আবেদন করা শিক্ষার্থীরা ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৩১২টি চয়েজ ফরম পূরণ করেছে।
লটারির জন্য অনলাইনে ভর্তির আবেদন শুরুর পর থেকে প্রতি বছরই বেসরকারি স্কুলে শূন্য আসনের চেয়েও কম আবেদন জমা পড়ে। এবারও সেই ধারা দেখা যাচ্ছে। প্রথম ৫ দিনে বেসরকারি স্কুলে মাত্র ১ লাখ ৬ হাজার ৬৩২ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছে। তারা ২ লাখ ২৩৭টি স্কুল চয়েজ (পছন্দ) দিয়েছে। মাউশি সূত্র জানায়, এ বছর সারাদেশের ৪ হাজার ৯৪৫টি বেসরকারি স্কুলে মোট ভর্তিযোগ্য আসন ১০ লাখ ৭ হাজার ৬৭১টি। সেই হিসেবে তুলনামূলক আবেদনের হার কম।
এ ব্যাপারে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মাধ্যমিক শাখার উপ-পরিচালক আজিজ উদ্দিন জানান, টেলিটক ভর্তি আবেদনের সংখ্যা আমাদের জানায়। তারা প্রতি দু-দিন পর পর তথ্য দেয়। তিনি জানান, প্রথম দিনের আবেদনের সংখ্যা কম থাকে। শেষের দিকে এ আবেদনের সংখ্যা বাড়বে।
প্রথম ধাপে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ২২-২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভর্তি চলবে এবং দ্বিতীয় ধাপের তালিকা থেকে ভর্তি চলবে ২৬-৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। https://gsa.teletalk.com.bd/ এই লিঙ্কে গিয়ে শিক্ষার্থীরা সরকারি ও বেসরকারি স্কুলের জন্য আলাদাভাবে আবেদন করতে পারবে।