অগ্রাহায়নে শীতের অনুভূতি
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৯:৪৯:৪৬ অপরাহ্ন
আরো বাড়ার পূর্বাভাস আবহাওয়া অধিদপ্তরের
স্টাফ রিপোর্টার : প্রকৃতিতে এখন হেমন্তকাল। হেমন্তের অর্ধেক অর্থাৎ কার্তিক গেছে গরমে। তবে অগ্রাহায়নে শীত তাঁর আগমনী জানান দিয়েছে। গ্রমাঞ্চলে সকালবেলায় কুয়াশার দেখাও মিলছে। উষ্ণতম নগরেও সকালে এখন হালকা শীত অনুভূত হচ্ছে। প্রকৃতির এই পরিবর্তন জানান দিচ্ছে শীত জেঁকে বসছে শিঘ্রই। আবহাওয়া অধিদপ্তরও একই বার্তা দিচ্ছে। যদিও রোদ ওঠার সঙ্গে সঙ্গে শীতল পরিবেশ বিদায় নেয়, আবার বিকেল হলে অনুভূত হতে থাকে হালকা শীত।
ইতিমধ্যে অগ্রাহায়নের শুরুতেই শীত জেঁকে বসেছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলা চুয়াডাঙ্গায়। কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে আর সন্ধ্যা নামার সাথে সাথেই বেশ শীত অনুভুত হচ্ছে। উত্তরের হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করেছে প্রকৃতিতে। সোমবার সকাল ৬ টায় চুয়াডাঙ্গা জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আর সিলেটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা গতকাল নেমেছে ১৯ ডিগ্রীতে। ওদিকে, সারাদেশে শীতের অনুভূতি বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর। সোমবার মো. আবদুর রহমান খান স্বাক্ষরিত ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি বলছে, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। পাশাপাশি এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ অবস্থায় আজ মঙ্গলবার অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পাশাপাশি রংপুর বিভাগে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দেশের অন্যত্র তা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। সারাদেশের দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
অন্যদিকে আগামীকাল বুধবার আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। পাশাপাশি এই সময়ে সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তর তথ্য মতে, আগামী ৫দিনের রাত ও দিনের তাপমাত্রা আরও হ্রাস পেতে পারে। সেইসঙ্গে শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চলে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
এদিকে, শীতের আগমনে সিলেটে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে গরম কাপড়ের ব্যবসা। ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত শপিংমলেও শীতের কাপড়ের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানীরা। বেচাকেনাও চলছে। এছাড়াও নগরীর পাইকারি বাজারগুলোও গেল কিছদিন ধরে শীতের কাপড়ের বেচাকেনা বেড়েছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, নগরীর বন্দর বাজার, কিন ব্রিজের পাশ, কোর্ট পয়েন্ট, জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা, রিকাবী বাজার, আম্বরখানা, মেজরটিলা, শাহী ঈদগাহ টিলাগরড় পয়েন্টসহ বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা এবং বিপণি-বিতানের সামনে হকাররা নানা রকমের শীতের কাপড় সাজিয়ে বসেছেন। অল্প টাকায় সেখানে নানা ধরন ও মানের শীতের কাপড় পাওয়া যাচ্ছে। সস্তায় গরম কাপড় কিনতে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত লোকজন সেখানে আসছেন।
এদিকে প্রতি বছর শীতের আগমনকে ঘিরে নগরীতে মৌসুমি হকারদের আনাগোনা বেড়ে যায়। ব্যতিক্রম নেই এবারও। নিয়মিত হকারদের পাশাপাশি মৌসুমি হকাররা ইতিমধ্যেই নিজেদের জায়গা নির্ধারণ করে ব্যবসা শুরু করে দিয়েছেন।