ফের চারাগাও শুল্ক স্টেশন দিয়ে কয়লা আমদানি শুরু
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৮:০০:০২ অপরাহ্ন
তাহিরপুর প্রতিনিধি :
৬ মাস বন্ধ থাকার পর সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা চারাগাও শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফের কয়লা আমদানি শুরু হয়েছে। এ সময় শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। সোমবার দুপুরে দু’দেশের কাস্টমস কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের উপস্থিতিতে কয়লা আমদানি শুরু হয়।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও সচেতন মহল জানায়, সুনামগঞ্জ জেলার রাজস্ব আদায়ের বড় খাত তাহিরপুর উপজেলা উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের সীমান্তে তিনটি (বড়ছড়া,চারাগাঁও ও বাগলী) শুল্ক স্টেশন বন্ধ থাকলে সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়। পাশাপাশি চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়ে ২০ হাজার শ্রমিক ও পাঁচ শতাধিক ব্যবসায়ী।
তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক গ্রুপ সূত্রে জানা গেছে, বড়ছড়া, বাগলী ও চারাগাঁও শুল্ক স্টেশন দিয়ে নব্বইয়ের দশকের শুরু থেকে ভারত থেকে কয়লা আমদানি শুরু হয়। ২০১৪ সালে ভারতের মেঘালয়ের একটি পরিবেশবাদী সংগঠনের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পরিবেশগত ক্ষতির কথা বিবেচনা করে কয়লা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে দেশটির ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল। পরে টানা প্রায় সাত মাস বন্ধ থাকে কয়লা আমদানি। এরপর পুনরায় আমদানি শুরু হলেও তা আর নিয়মিত হয়নি। ১০-১৫ দিন বা এক মাস চললেই ৬ বা এক বছরও বন্ধ থাকে। ফলে ক্ষতির মুখে পড়েছেন শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা। সরকারও কোটি কোটি টাকার রাজস্ব বঞ্চিত হয়েছে।
কয়লা আমদানি শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করে তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক সবুজ আলম জানিয়েছেন, কয়লা আমদানি বন্ধ থাকলেই প্রায় ২০ হাজারের অধিক শ্রমিক বেকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করে। অনেকে এলাকা ছেড়ে কাজের সন্ধানে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলে যেতে বাধ্য হয়। যদি সারা বছর চালু থাকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় তাহলে ব্যবসায়ীরা ভাল থাকে, শ্রমিকরাও তারা তাদের জীবন জীবিকার অবলম্বন করতে পারে।
বড়ছড়া শুল্ক বন্দরের দায়িত্বে থাকা রাজস্ব কর্মকর্তা উত্তম কুমার জানিয়েছেন, এলসির মাধ্যমে চারাগাও শুল্ক বন্দর দিয়ে কয়লা আমদানি শুরু হয়েছে। এছাড়াও বড়ছড়া শুল্ক বন্দর দিয়েও কয়লা আমদানি শুরু করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধিন রয়েছে।