এস আলম গ্রুপের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা: দুই ব্যাংকের ৪৫৬ কর্মকর্তার শাস্তি
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৭:৩১:৩৮ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক: বিতর্কিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলমের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে চাকরিচ্যুতসহ দুই ব্যাংকের ৪৫৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে এস আলমের নিয়োগ দেয়া ইউনিয়ন ব্যাংকের ২৬২ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত এবং এস আলম গ্রুপকে নামে-বেনামে ঋণ দেয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকায় ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ১৯৪ কর্মকর্তাকে কর্মস্থল থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
ব্যাংক দুটি সোমবার এ সিদ্ধান্তের কথা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানিয়ে দিয়েছে। এর আগে ১৭ নভেম্বর ইউনিয়ন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় খরচ কমাতে ২৬২ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুতির সিদ্ধান্ত হয়। চাকরিচ্যুত ব্যক্তিদের সবাই গত ফেব্রুয়ারিতে নিয়োগ পেয়েছেন। এই নিয়োগ দিতে ব্যাংকটি কারও কোনো পরীক্ষা নেয়নি। এস আলম গ্রুপের দেওয়া তালিকা থেকে এই নিয়োগ দেয়া হয়। চাকরিচ্যুত ব্যক্তিদের সবাই ট্রেইনি অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার ও ট্রেইনি অ্যাসিস্ট্যান্ট ক্যাশ অফিসার পদের কর্মকর্তা। তাদের অধিকাংশই চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।
অন্যদিকে, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে শাস্তি পাওয়া কর্মকর্তাদের ২৪ জনই চট্টগ্রামের বিভিন্ন শাখার ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) ছিলেন। তাদের মধ্যে অন্যতম চট্টগ্রামের খুলশী শাখার ব্যবস্থাপক খুরশিদ আলম। তিনি এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলমের (এস আলম) ব্যক্তিগত সচিব আকিজ উদ্দিনের ভাই। তাদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার ও নামে-বেনামে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তৈরি করে এস আলমকে ঋণ দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। ব্যাংকের চট্টগ্রাম অঞ্চলের সব শাখায় বিশেষ পরিদর্শন শেষে নিরীক্ষা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ব্যাংকটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। শাখা ব্যবস্থাপকদের আগামী ২১ দিনের মধ্যে তাদের সময়ে দেয়া ঋণ আদায়ের নির্দেশনা দিয়ে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে।
ওই দুই ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ইউনিয়ন ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক দীর্ঘদিন এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে ছিল। গত আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকার পতনের পর ব্যাংক দুটিকে এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তার আগেই ব্যাংক দুটির বেশির ভাগ অর্থ নামে-বেনামে সরিয়ে নিয়েছে গ্রুপটি। এর ফলে ব্যাংক দুটি এখন তারল্যসংকটে ভুগছে। ব্যাংক দুটির নথিপত্র ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে। তবে এসব বিষয়ে কেউ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।