মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে সিন্ডিকেটে জড়িতদের ব্ল্যাকলিস্ট করবে সরকার
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৭:১৭:৫১ অপরাহ্ন
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে সিন্ডিকেটে জড়িতদের ব্লাকলিস্ট করা হবে। শ্রমিক কোটা অপব্যবহার, জড়িত কোম্পানির মালিক বা এজেন্টদের বিরুদ্ধে স্থায়ীভাবে ব্ল্যাকলিস্ট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালয়েশিয়া সরকার। দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রী স্টিভেন সিম এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
১৯ নভেম্বর মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম মালয়েশিয়াকিনি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ‘এ টু বি’ পর্যন্ত সিন্ডিকেটকে উল্লেখ করে মানবসম্পদ মন্ত্রী বলেন, যেখানে কোম্পানির মালিকরা প্রকৃতপক্ষে শ্রমিকদের প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও হাজার হাজার অভিবাসী শ্রমিকের জন্য কোটা সংগ্রহ করে কয়েক মিলিয়ন রিঙ্গিত উপার্জন করছে- যদি কারো কাছে এমন তথ্য থাকে, তবে মন্ত্রণালয়ে জানানোর জন্যও বলেন মন্ত্রী। আর এসব তথ্য প্রমাণিত হলে এই কোম্পানির মালিকদের স্থায়ীভাবে ব্ল্যাকলিস্ট করা হবে। কুয়ালালামপুরে অভিবাসী শ্রমিক ব্যবস্থাপনার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ১২তম যৌথ কমিটির বৈঠকের পর তিনি এসব কথা বলেন।
সিম আরও বলেছেন, এই সিন্ডিকেট সম্পর্কে যেকোনো তথ্য থাকা ব্যক্তিদের পুলিশ, দুর্নীতি দমন কমিশন (এমএসিসি) এবং শ্রম বিভাগে অভিযোগ দায়ের করতে। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, যদি এটি মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনেও হয়, তবুও আমরা ব্যবস্থা নেব। আর যদি এটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে পড়ে, তাহলে সেটি পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।
এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইলের সাথে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সিম এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছেন এবং তিনি বলেছেন, আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই কারণ তারা শুধু সিন্ডিকেটটি প্রকাশ করেনি বরং এই সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এ ধরনের সিন্ডিকেটের সংখ্যা কমে যাওয়াকে সাফল্য হিসেবে দেখছে।
মালয়েশিয়াকিনির তথ্যমতে, ১৯৯৬ সাল থেকে এই সিন্ডিকেটটি সক্রিয় রয়েছে এবং আংশিক কিছু আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের যোগসাজশের কারণে এটি দমন করা কঠিন ছিল। পরীক্ষায় দেখা গেছে, তাদের উদ্দেশ্য প্রতিটি কোম্পানির মালিক কোটা বিক্রি এবং শ্রমিকদের অস্থায়ী কর্মসংস্থান ভিজিট পাস (পিএলকেএস) প্রতি বছর রিনিউ করে লাখ লাখ রিঙ্গিত আয় করতে পারে।