তাহিরপুরে আমনের বাম্পার ফলন
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭:০০:২০ অপরাহ্ন
তাহিরপুর প্রতিনিধি : সোনালী পাকা ধানের মৌ মৌ গন্ধে ভরে গেছে রোপা আমনে ফসলের মাঠ। ইতোমধ্যে আগাম জাতের পাকা ধান কাটা ও মাড়াই শুরু করেছেন সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার কৃষকরা। তারা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ধান কাটা-মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সাথে যোগ দিয়েছেন পরিবারের সদস্যরাও। ফসলের ফলন ভাল হওয়ায় লাভের আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের মধ্যে বাদাঘাট, উত্তর বড়দল, বালিজুড়ি ও শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নে এবার ৬ হাজার ৩ শত ৫০ হেক্টর হাওরের উঁচু জমিতে আমন ধানের চাষ করা হয়েছে। বাদাঘাট ও উত্তর বড়দল ইউনিয়নে শতভাগ আর বালিজুড়ি ও শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নে ৩০ ভাগের বেশী জমিতে চাষ করা হয়েছে আমন।
উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়ন কৃষক রফিক মিয়া জানিয়েছেন, ‘প্রতি কিয়ারে উঁচু জমিতে ১২ থেকে ১৩ মণ ধান হয়েছে এবং নিচের জমিতে প্রতি কিয়ারে ১৫ থেকে ১৬ মণ করে ধান উৎপাদন হয়েছে। কোনো কোনো জমিতে আরও বেশি ধান পাওয়া গেছে। আর উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করে দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা সঠিক পরামর্শ দিয়েছেন। তবে এবার আমন ধানের আবাদে বাড়তি দামে কিনতে হয়েছে সার ও বীজ। এছাড়া শ্রমিক খরচ ও চারার দামও বেশি ছিল। এদিকে বাজারে ধানের দামও ভাল। তাই ক্ষতি পুষিয়ে আশা করছি লাভবান হবো।’
উত্তর বড়দল ইউনিয়নের কৃষক শাকিল মিয়া জানান, ‘হাওরে আমন ধান এবার ভাল হয়েছে। কাটা শুরু হয়েছে। অনেকেই আরও আগেই ধান কেটেছেন। সেখানে শীতকালীন সবজি চাষ করেছে। তবে কৃষি অফিস থেকে সময়মত বিনামূল্যে সার বীজ পেলে ভাল হত আর বেশী লাভবান হতে পারতাম।’
উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রামের কৃষক রফিক মিয়া বলেন, ‘এবার জমিতে ফলন ভাল হয়েছে। তবে কিছু রোগবালাইয়ের কারণে সমস্যা হলেও উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করে পরামর্শ পাওয়ায় ভাল ফলনে ক্ষতি কাটিয়ে লাভবান হবো।
তাহিরপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম জানান, এবছর ফসল ভাল হয়েছে বলে অনেক কৃষকই জানিয়েছেন। আমি নিজেও এলাকা ঘুরে দেখেছি। আর কৃষকদের চারা রোপণ থেকে শুরু করে কেটে গোলায় তোলার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত আমিসহ আমার কর্মকর্তাগণ পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। আজকে পর্যন্ত ৩৫ ভাগ ধান কাটা হয়েছে।