মাধবপুরে বেড়েছে সুগন্ধি জাতের ধান চাষ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৬:১৩:৩৬ অপরাহ্ন
মাধবপুর প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে দেখা মিলছে সুগন্ধি জাতের ধান চাষ। কৃষকরা নিজ উদ্যোগে সুগন্ধি জাতের ধান বীজ সংগ্রহ করে ধান চাষে এখন এগিয়ে এসেছেন। এর কারণ হচ্ছে বাজারে সুগন্ধি জাতের চাল উচ্চমূল্যে বিক্রি করা যায়। এছাড়া অনেক বাণিজ্যিক ধান চালের ব্যবসায়ী সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে এ ধান কিনে নেয়।
এক সময় কৃষকরা স্বল্প পরিসরে নিজের চাহিদা মেটাতে সুগন্ধা ও বিরুন ধান চাষ করতেন। কিন্তু কালের বিবর্তনে ধান চাষে কৃষকরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলায় দেশি জাতের বীজ বিলুপ্ত হতে থাকে। আবার সুগন্ধি জাতের চালের চাহিদা বাড়ায় গ্রামের কৃষকরা বড় পরিসরে এখন ধান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। আগে কৃষকরা এ ধান চাষ করতে আলাদা জমি রেখে দিতেন। নিজেই বীজ সযত্নে সংগ্রহ করে রাখতেন। কিন্তু হাইব্রীড জাতের ধানের আধিক্যের কারণে এক সময় দেশি জাতের বীজ বিপন্ন হতে চলছিল।
মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামের কৃষক বধু মিয়া জানান, গত ৫/৬ বছর ধরে কৃষকরা চিনিগুড়া, কালোজিরা, কাটারিভোগ, তুলশীমালা, বাশফুল, বেগুনবিচি, চিনিশাইল, গোবিন্দভোগ, দুধশাইলসহ বিভিন্ন জাতের ধান চাষ করেছে। গ্রামের বাজার থেকে সুগন্ধি জাতের ধান বীজ সংগ্রহ করে চাষাবাদ করেছে। এখন বাজারে এ জাতের নামিদামি ধান চাল ব্যবসায়ীরা প্যাকেট করে প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি করেন। বাজারে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দেশি জাতের সুগন্ধি ধান চাষ বেড়েছে।
আন্দিউড়া ইউনিয়নের কৃষক মুর্শেদ মিয়া বলেন, ধানের জমি বিভিন্ন কারণে কমে যাওয়ায় কৃষকরা এখন ধান চাষের জমি কম পাচ্ছেন। তবে আশার কথা হচ্ছে এবার আমন মৌসুমে কৃষকরা প্রচুর পরিমাণ সুগন্ধি জাতের ধান চাষ করেছে। এ চালের চাহিদা দেশে বিদেশে অনেক বেড়েছে। তাই কৃষকরা দিন দিন সুগন্ধি ধান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
মাধবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সজিব সরকার জানান, ভোক্তা পর্যায়ে সুগন্ধি জাতের ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি হওয়ায় কৃষকরা এখন সুগন্ধি জাতের ধান চাষ করতে উৎসাহী হয়েছেন। এবার আমন মৌসুমে উচ্চফলনশীল ধানের পাশাপাশি প্রচুর সুগন্ধি জাতের ধান চাষ করেছেন। কৃষকরা যাতে দেশি জাতের বীজ নিরাপদে সংরক্ষণ করতে পারে আমরা তাদের মৌলিক ও কারিগরি প্রশিক্ষণ দিচ্ছি।