বিপন্ন প্রাণীর তালিকায় যুক্ত হচ্ছে জিরাফ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯:০৮:৩২ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক: জিরাফ পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা প্রাণী। নিজেদের লম্বা গলা এবং পরিচিত বাদামি দাগগুলোর জন্য জিরাফ কার্টুন, শিশুদের বই এবং খেলনার তাকে স্থান করে নিয়েছে। কিন্তু আফ্রিকার সাভানায় জিরাফের সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমে যাচ্ছে। এদের সংখ্যা এতটাই কমেছে যে, যুক্তরাষ্ট্র সরকার এই লম্বাগলার প্রাণীগুলোকে তাদের বিপন্ন প্রজাতির প্রাণীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফিশ অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ সার্ভিস বুধবার একটি প্রস্তাবনা ঘোষণা করেছে। প্রস্তাবনায় বিপন্ন প্রজাতি আইন অনুযায়ী, জিরাফের একটি বড় অংশকে রক্ষা করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো প্রাণীটি এই আইনের আওতায় সুরক্ষা পাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা আশা করছেন, এই পদক্ষেপটি জিরাফ শিকার বন্ধ করতে সহায়তা করবে। মূলত গালিচা, গয়না এবং জুতা তৈরিতে জিরাফের দেহের বিভিন্ন অংশ ব্যবহার করার ফলে প্রাণীটির সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। নতুন এই পদক্ষেপের ফলে এসব পণ্য আমদানি কমে আসবে এবং জিরাফ হত্যা বন্ধ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ফিশ অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ সার্ভিসের পরিচালক মার্থা উইলিয়ামস এক বিবৃতিতে বলেন, ফেডারেল সুরক্ষা জিরাফকে রক্ষা করতে সাহায্য করবে। এটি একটি বিপন্ন প্রজাতিকে বাঁচাতে, জীববৈচিত্র্যকে উৎসাহিত করতে, পরিবেশের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে, বন্যপ্রাণী পাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং টেকসই অর্থনৈতিক নিয়মগুলো প্রচার করতে সাহায্য করবে। আফ্রিকার বিভিন্ন প্রাকৃতিক পরিবেশ যেমন, মরুভূমি, বনাঞ্চল ও সাভানায় জিরাফ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে আজও প্রাণীগুলো রহস্যময়, বিশেষত গবেষকরা এখনও এই বিষয়ে আলোচনা করছেন, জিরাফ একটি প্রজাতি নাকি একাধিক প্রজাতি। তবে একটি বিষয় তারা একমত, জিরাফ বিপদে রয়েছে।
১৯৮৫ সালে ১ লাখ ৫০ হাজারের বেশি জিরাফ ছিল, যা ২০১৫ সালে মাত্র ৯৮ হাজারে নেমে আসে। প্রধানত দ্রুত নগরায়ণ, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তৈরি হওয়া খরা, স্থানীয় শিকার এবং বৈদেশিক বাণিজ্যের কারণে বাসস্থান হারানোর ফলে জিরাফের সংখ্যা কমতে থাকে। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি সংরক্ষণ সংঘ (আইইউসিএন) ২০১৮ সাল থেকে কিছু জিরাফের উপপ্রজাতিকে ‘মহাবিপন্ন’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।