২ মাস মজুরী নেই ১১ হাজার চা শ্রমিকের
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯:২৪:৫৩ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটে একদিকে দুর্দিন কাটছে না চা শ্রমিকদের। অপরদিকে টানা কর্মবিরতির কারণে যথাসময়ে চা পাতা উত্তোলন করতে না পারায় ৬০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ন্যাশনাল টি কোম্পানির।
এদিকে দীর্ঘদিন ধরে মজুরি না পাওয়ায় অর্থকষ্টে দিন কাটাচ্ছেন শ্রমিকরা। অনেকের ঘরেই খাবার নেই। দীর্ঘদিন থেকে সিলেটে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ন্যাশনাল টি কোম্পানির অধীনে থাকা ১২ টি চা বাগানের ১১ হাজারের বেশঅ শ্রমিকের মজুরী বন্ধ। চা শ্রমিকদের বকেয়া বেতন কবে নাগাদ দেয়া হবে তাও জানা নেই কারো। বাগানগুলোর শ্রমিকরা গেলো ২ মাস যাবত মানবেতর জীবন পার করছেন। অনেকেই দিন গুনছেন কবে স্বাভাবিক হবে বাগানের কার্যক্রম। খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন কেউ কেউ।
জানা গেছে, ৬ সপ্তাহের বকেয়া বেতনের দাবীতে অক্টোবর মাসের শুরু থেকেই আন্দোলনে নামে ঐ কোম্পানীর ১২ বাগানের চা শ্রমিকরা। কিন্তু বেতন না পাওয়ায় ২০ অক্টোবর থেকে টানা কর্মবিরতিতে নামেন তারা। এরপর থেকে বন্ধ রয়েছে ঐসব বাগানের চা উত্তোলন কার্যক্রম। ফলে বাগানেই নষ্ট হচ্ছে চা পাতা। এতে বিপুল পরিমাণ ক্ষতির সম্মূখীন হচ্ছে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটি। গত ২ মাসের অচলবস্থার কারণে ন্যাশনাল টি কোম্পানির ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৬০ কোটি টাকা।
এ ব্যাপারে ন্যাশনাল টি কোম্পানির আওতাধিন লাক্কাতুরা চা বাগানের ব্যবস্থাপক আক্তার শহীদ দৈনিক জালালাবাদকে বলেন, বাগান কর্তৃপক্ষের তহবিল না থাকায় এই সংকট সৃষ্টি হয়েছে। ২ মাসে শ্রমিকরা কাজে যোগ না দেয়ায় তাদের ক্ষতি হয়েছে ৬০ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন সিলেট ভ্যালি কার্যকরী পরিষদের সভাপতি রাজু গোয়ালা বলেন, সরকার পদক্ষেপ নিলে এটার সমাধান করা সম্ভব। কিন্তু কেন করছেন না এটা আমি জানি না। আমি আবারো অনুরোধ করব কোম্পানি ও সরকারের কাছে যাতে দ্রুত বাগানগুলো চালু করার ব্যবস্থা করা হয়।
লাক্কাতুরা চা বাগানের একাধিক শ্রমিক জানান, আমরা অনেক কষ্টে জীবনযাপন করছি। তবুও একদিন খাই একদিন না খেয়ে ঘুমাই। আমাদের তো কিছু না, কিন্তু বাচ্চা-কাচ্চাদের কয়দিন না খাওয়ায়ে রাখব।
সিলেট বিভাগে ন্যাশনাল টি কোম্পানির ১২টি চা বাগানে ১৮ হাজারের বেশি শ্রমিক কাজ করছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।