ইমরান মুক্তির দাবিতে উত্তাল ইসলামাবাদ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ৮:০৩:৪৮ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ চলছে। হাজার হাজার প্রতিবাদকারী দেশটির বিভিন্ন স্থান থেকে রাজধানী ইসলামাবাদের দিকে মিছিল নিয়ে জড়ো হচ্ছেন। রোববার শুরু হওয়া এই মিছিলে পুলিশের সাথে বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি সংঘাত হয়েছে, আটক করা হয়েছে অনেককে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
দেশটির সরকার ইসলামাবাদ জুড়ে কড়া নিরাপত্তা জারি করেছে, মহাসড়ক বন্ধ করার পাশাপাশি কিছু কিছু এলাকায় মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রেখেছে। ইমরানের কয়েক হাজার সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার মধ্যে দলের পাঁচজন সংসদ সদস্যও আছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা তাদের দিকে পাথর ছুড়েছে, যার ফলে ১৪ জন কর্মকর্তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মতে, সোমবার সকালে ইসলামাবাদের বিভিন্ন স্থানে বহু বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে পিটিআই কর্মীরা অভিযোগ করছে যে পুলিশ তাদের ওপর টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করছে এবং লাঠিচার্জ করছে।
ইমরানের সমর্থকদের দাবি, নির্বাচনে জালিয়াতি করে ক্ষমতায় এসেছেন শেহবাজ শরীফরা। তাই তাদের ইস্তফা দিতে হবে। ইমরান-সহ পিটিআই দলের যে নেতারা বন্দি আছেন, তাদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।
এই মিছিল ইমরান খানের দেওয়া ‘চূড়ান্ত’ বিক্ষোভের জবাব হিসেবে দেখা হচ্ছে। তিনি তার সমর্থকদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ইসলামাবাদে থাকার অনুরোধ করেছেন। ইমরান খানের স্ত্রী ও সাবেক ফার্স্ট লেডি বুশরা বিবি এই প্রতিবাদ মিছিলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। জানুয়ারিতে ইমরান খানের সঙ্গে তিনিও দোষী সাব্যস্ত হন । তবে বুশরা বিবি অক্টোবরের শেষের দিকে জামিনে মুক্তি পান। রোববার তিনি গাড়ি বহরে অংশ নেন এবং গাড়ির ভেতর থেকে মাইক্রোফোনে সমর্থকদের উদ্দীপ্ত করেন। তিনি বলেন, ‘আপনারা দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করুন। আমরা ইমরান খানকে ফিরিয়ে আনার জন্য এখানে আছি, এবং তাকে ছাড়া ফিরব না।’
৭২ বছর বয়সী ইমরান খান দুর্নীতির মামলায় তিন বছরের কারাদ- ভোগ করছেন, তবে তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। গত আগস্ট থেকে জেলে খাটছেন সাবেক এই প্রধনমন্ত্রী। ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়া ইমরান খান ২০২২ সালে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে মতবিরোধের পর আস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হন। তিনি অভিযোগ করেছেন যে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
জাতিসংঘের একটি প্যানেলও তার গ্রেপ্তারকে স্বেচ্ছাচারী হিসেবে অভিহিত করেছে। ইমরান খান জেলে থাকলেও তিনি এখনও পাকিস্তানের রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করে আছেন।