আনোয়ার ফাউন্ডেশন ইউকে’র জুলাই বিপ্লবে আহত ও নিহতের স্মরণে সভা
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ৭:১২:৩৪ অপরাহ্ন
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতা সিদ্দিকী বলেছেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকার জন্য ছাত্র-জনতার উপর পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের দিয়ে গুলি চালিয়ে প্রায় ২ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। তাদের হামলায় পঙ্গুত্ববরণ করেছেন প্রায় ৩৪ হাজার মানুষ, চোখ হারিয়েছেন কয়েক হাজার আন্দোলনকারী। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পুলিশ বাহিনী ও সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন অসংখ্য ছাত্র জনতা ও বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতৃকর্মীরা। অনেকেই টাকার অভাবে ভালো চিকিৎসা করাতে পারছে না। নিহত ও আহতদের আত্মদানের বিনিময়ে আমরা নতুন স্বাধীনতা পেয়েছি।
তিনি বুধবার সন্ধ্যায় ইমজার হলরুমে আনোয়ার ফাউন্ডেশন ইউকে বাংলাদেশের উদ্যোগে জুলাই বিপ্লবে নিহত ও আহত এবং ছাত্র জনতা সাংবাদিকদের স্মরণ ও সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
অনুষ্ঠানে আনোয়ার ফাউন্ডেশন ইউকে বাংলাদেশের উদ্যোগে জুলাই বিপ্লবে নিহত ও আহত ২৩ জনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। নিহত পংকজের মেয়ের পড়ালেখার ও আহত একজনের চিকিৎসার দায়িত্ব নেন ব্যারিস্টার রিয়াসাদ আজিম হক আদনান।
১নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সভাপতি এজহারুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক হাসান মোহাম্মদ শামীমের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সিলেট মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি ব্যারিস্টার রিয়াসাদ আজিম হক আদনান, সাংবাদিক শাহ দিদার আলম নবেল, সিলেট মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি মুফতি নিহাল উদ্দিন, মহানগর বিএনপির সাবেক বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল সত্তার মামুন, মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য মুরাদ আহমদ, ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নজির হোসেন, ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও আনোয়ার ফাউন্ডেশন ইউকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি লিমন, মহানগর বিএনপির মামুন আহমদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য কাউসার আহমদ রকি প্রমুখ।
নিহত পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন মরহুম শহীদ সাংবাদিক আবু তুরাবের বড়ভাই জাবের আহমদ, শহীদ পংকজ কুমার করের বাবা নিখিল কুমার কর। আহতদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক রুবেল আহমদ, রাশেদ আহমদ সহ অন্যান্য আহতরা। অনুষ্ঠানের শুরুতে নিহতদের প্রতি সম্মান জানিয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি