এখন কী করবে ইমরান খানের পিটিআই
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ৯:৪৫:১২ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক : সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতা কারাবন্দী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে হাজার হাজার কর্মী-সমর্থকের গাড়িবহর গত সোমবার রাতে রাজধানী ইসলামাবাদের ডি-চক এলাকায় পৌঁছায়। তাঁকে মুক্ত না করা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান নিয়ে থাকার আহ্বান জানিয়েছিলেন ইমরানের স্ত্রী বুশরা বিবি। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মঙ্গলবার মধ্যরাতের আগে অভিযান চালিয়ে বিক্ষোভকারী কর্মী-সমর্থকদের হটিয়ে দেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় দুই পক্ষে সংঘর্ষ হয়। ঘটে হতাহত হওয়ার ঘটনা।
এ অভিযানের আগে ইসলামাবাদের মধ্যাঞ্চলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। ডি-চক সেখান থেকে তিন কিলোমিটারের কম দূরত্বে। এখান থেকেই ইসলামাবাদের রেড জোন শুরু। গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সরকারি ভবনের অবস্থান এ জোনে।
বুশরা বিবি ছাড়াও খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও পিটিআই নেতা আলী আমিন গান্দাপুর অন্ধকারে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে সরে যেতে বাধ্য হন। পরে নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ব্যবহার করে। গতকাল বুধবার সকালের মধ্যে পিটিআই এক বিবৃতিতে জানায়, বিক্ষোভ ‘আপাতত’ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
পিটিআই নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের গাড়িবহর খাইবার পাখতুনখাওয়া থেকে ইসলামাবাদ অভিমুখে গিয়েছিল। রাজধানীতে প্রবেশে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই ইসলামাবাদে প্রবেশ করে বহর। তাদের দাবি ছিল তিনটি-গত ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে পিটিআইয়ের কাছে থেকে ‘ছিনিয়ে নেওয়া’ ম্যান্ডেট পুনরুদ্ধার, ইমরানসহ রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি ও বিচার বিভাগে নিয়োগের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে আনা সংবিধান সংশোধনী বাতিল করা।
এখন বিক্ষোভকারীরা ইসলামাবাদ থেকে পিছু হটায় পিটিআইয়ের শীর্ষ নেতৃত্ব ভীষণ চাপে পড়েছেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। তাঁদের মতে, দলটির কোনো দাবি পূরণ হয়নি। এ পরিস্থিতিতে পিটিআই কীভাবে সংগঠিত হবে, সেটা নিয়ে অস্পষ্টতা রয়ে গেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাইঘাম খান আল-জাজিরাকে বলেন, এ বিক্ষোভ কর্মসূচিকে ‘চূড়ান্ত ডাক’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছিল পিটিআই। এখন এভাবে বিক্ষোভ ধসে পড়া, দলটির রাজনৈতিক কৌশলের জন্য একটি বড় ধাক্কা। চার মাসের মধ্যে এটা পিটিআইয়ের চতুর্থ বিক্ষোভের ঘটনা। গত অক্টোবরে একটি বিক্ষোভ অঙ্কুরেই থেমে যায়।