বড়লেখায় ড্রাগ লাইসেন্স ও ফার্মাসিস্ট ছাড়াই চলছে অধিকাংশ ফার্মেসী
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ৮:০১:১২ অপরাহ্ন
বড়লেখা প্রতিনিধি: বড়লেখা পৌরশহর ও উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারসহ অলি গলিতে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠা বেশিরভাগ ফার্মেসীর নেই ড্রাগ লাইসেন্স। এসব ফার্মেসীতে নিবন্ধিত চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র এবং প্রশিক্ষিত ফার্মাসিষ্ট ব্যতীত জীবন রক্ষাকারী গুরুত্বপূর্ণ ওষুধসহ অ্যান্টিবায়োটিকও বিক্রি হয় দেদারছে। ফলে, জনগণ রয়েছেন মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে।
বিশেষ করে অভাবী ও নিম্নবিত্ত লোকজনকে বেশিরভাগ ওষুধ দোকানি নিজেরাই ডাক্তারের মত অহরহ চিকিৎসা দিচ্ছে। ওষুধ প্রশাসনের নীতিমালা ও ড্রাগ লাইসেন্সের শর্তানুযায়ী বৈধ ফার্মেসীর প্রত্যেকটিতে ওষুধ বিক্রির জন্য প্রশিক্ষিত ফার্মাসিষ্ট থাকতে হবে। কিন্তু উপজেলার এসব দোকানে এ ধরণের নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই চলছে রমরমা ওষুধ ব্যবসা। নিবন্ধিত চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ বিক্রি না করার নির্দেশনা মানছে কেউ। নিয়মিত কঠোর মনিটরিং এবং প্রশাসনের অভিযান না থাকার সুযোগে অযোগ্যরা ড্রাগ লাইসেন্স, কেমিস্ট ও ফার্মাসিস্ট ছাড়াই শুধুমাত্র ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্স নিয়েই অবৈধভাবে ফার্মেসী পরিচালনা করছে। আর এতে প্রতারণার শিকারসহ মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ।
ফার্মেসী এবং ওষুধের দোকান স্থাপন ও পরিচালনার সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী মডেল ফার্মেসীতে (লেভেল-১) কমপক্ষে একজন স্নাতক ডিগ্রিধারী ফার্মাসিস্ট থাকবেন। তাকে সাহায্য করবেন বাংলাদেশ ফার্মাসিস্ট কাউন্সিল থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়া বিভিন্ন পর্যায়ের ফার্মাসিস্ট। আর মডেল মেডিসিন শপে (লেভেল-২) থাকবেন কমপক্ষে ডিপ্লোমাধারী ফার্মাসিস্ট। প্রশিক্ষণ নেই এমন কেউ ফার্মেসী বা ওষুধের দোকানে ওষুধ বেচাকেনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারবে না এমন কঠোর নির্দেশনাও রয়েছে। কিন্তু, স্থানীয় প্রশাসন ও ওষুধ প্রশাসনের উদাসীনতায় অনেকেই অবৈধভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন এই ব্যবসা।
এ ব্যাপারে জানতে ওষুধ প্রশাসন মৌলভীবাজার কার্যালয়ের ড্রাগ সুপারের সাথে যোগাযোগ করলে ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য মিলেনি। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রতœদীপ বিশ্বাস জানান, ফার্মেসী মনিটরিং করার জন্য নির্দিষ্ট করে তার উপর কোনো নির্দেশনা নেই।