ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণে কৃষক নামধারীদের প্রতিরোধে ৩ লক্ষ টাকার ব্যাংক স্টেটমেন্ট
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ৮:০৬:১৯ অপরাহ্ন
তাহিরপুর প্রতিনিধি: ফসল রক্ষাবাঁধ নির্মাণ ও মেরামতের কাজে কৃষক নামধারী সুবিধাবাদীদের প্রতিরোধে ও বাণিজ্য বন্ধে পিআইসির আবেদনের সাথে ৩ লক্ষ টাকার ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেয়ার মৌখিক শর্ত দেয়া হয়েছে। এই শর্তে নড়েচড়ে বসেছে সুবিধাবাদীরা।
এদিকে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় পিআইসির আবেদনের সাথে ৩ লাখ টাকার ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেয়ার শর্তকে স্বাগত জানিয়েছেন জেলা, উপজেলার সচেতন মহল ও হাওর পাড়ের কৃষকগন। এই শর্ত শুধু তাহিরপুর উপজেলায় নয়, জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এমনি শর্ত দিলে বাঁধে অনিয়ম ও পিআইসি বাণিজ্য বন্ধ করা সহজ হবে বলে মনে করেছেন জেলাবাসী।
হাওর পাড়ের কৃষকগন জানান, ফসল রক্ষা বাঁধ মেরামত/নির্মাণ করতে প্রতি বছরেই একটি সুবিধাবাদী সিন্ডিকেট তৎপর হয়ে উঠে যারা কৃষক না। কৃষকদের সামনে রেখে যাদের উদ্দেশ্যই পিআইসি বাণিজ্য করে বাঁধ নির্মাণ/মেরামতে অনিয়ম করে টাকা হাতিয়ে নেয়া। সেই সব লোকজন পিআইসি নিয়েই তালবাহানা শুরু করে আর বাঁধেও খুঁজে পাওয়া যায় না। চুক্তিতে দায়িত্ব দিয়ে দেয় অ্যাক্সকেভেটর মালিকদের (মাটি কাটার লোক জনের কাছে)। ফলে কাজে ব্যাপক অনিয়ম হয়। আগাম বন্যায় আতংকে থাকতে হয় ফসল নিয়ে হাওর পাড়ের লাখ লাখ কৃষকগনকে। মাটিয়ান হাওরে কৃষক শফিকুল ইসলাম জানান, এই ক্ষেত্রে ৩ লক্ষ টাকা কমেই হয়েছে। কারণ লাভ করতেই বাঁধের কাজ করতে আসে কিছু কৃষক নামধারী সুবিধাবাদী মানুষ। আর এই শর্ত থাকলে বাঁেধ গাফিলতি ও অনিয়ম করবে না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তাহিরপুর উপজেলার বিভিন্ন হাওররক্ষা বাঁধের ভাঙন বন্ধকরণ ও মেরামত কাজের প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি গঠনের লক্ষে গত ১৭ নভেম্বর জারীকৃত নোটিশে পাউবো ২৯ নভেম্বরের মধ্যে উপজেলা কাবিটা স্কীম প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতির বরাবর ৭টি শর্ত মেনে দরখাস্ত দাখিল করার জন্য নোটিশে বলা হয়। কিন্তু ৩ লক্ষ টাকার ব্যাংক স্টেটমেন্টের কথা কোথাও বলা হয়নি। তবে আবেদনে এ বিয়টি মৌখিকভাবে বলা হয়েছে। শ্রীপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলী আহমদ মুরাদ জানান, প্রকল্প কাজের শুরুতে যে সমস্ত পিআইসি সভাপতি প্রকল্প এলাকাতে অ্যাক্সকেভেটর মেশিন রাখবে, আর কাজ শুরু করবে তাদেরকেই শুধু নীতিমালা অনুযায়ী বিল দেয়া হয় তাহলে কাজের গতি বাড়বে। তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল হাসেম বলেন, ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে ইচ্ছুক প্রকল্প কমিটির নিকট থেকে ব্যাংক স্টেটমেন্ট চাওয়া হয়েছে এটি শুধু ফিল্টারিং মাত্র। এখানে কমিটি দেয়া হবে না বলা হয়নি। আবেদনের সাথে যারা ব্যাংক স্টেটমেন্ট দিতে পারবে না, তাদেরকেও প্রকল্প দেয়ার জন্য বিবেচনা করা হবে।