বড়লেখায় ৩ মাস পর কবর থেকে যুবকের লাশ উত্তোলন
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯:১৪:০৯ অপরাহ্ন
বড়লেখা প্রতিনিধি: বড়লেখায় দাফনের সাড়ে ৩ মাস পর ময়না তদন্তের জন্য রোববার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতে কবর থেকে উত্তোলন করা হল নিহত যুবক শাজাহান আহমদের (৩০)। ৮ আগস্ট উপজেলার সীমান্তবর্তী বোবারথলের একটি টিলা থেকে শাহজান আহমদের লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই সময় থানা পুলিশ না থাকায় ময়না তদন্ত ছাড়াই শাহজাহানের লাশ দাফন করা হয়। এঘটনায় নিহতের ভাই ইব্রাহিম আলী ৯ জনের বিরুদ্ধে বড়লেখা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা নিতে আদালত নির্দেশ প্রদান করেন।
লাশ উত্তোলনকালে উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পিয়াস রঞ্জন দাস, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নিখিল রঞ্জন দাস, বাদি ইব্রাহিম আলী প্রমুখ।
জানা গেছে, উপজেলার দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের বোবারথল ষাটঘরি গ্রামের মৃত ইছমাইল আলীর ছেলে শাজাহান আহমদ পান চাষ করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করতেন। পক্ষান্তরে একই এলাকার আব্দুল বাছিত, রুবেল আহমদ, সেলিম উদ্দিন, জসিম উদ্দিন, সুনাম উদ্দিন, ছাদিক আহমদ, কুতুব উদ্দিন প্রমুখ চোরাচালান, হত্যাকান্ড ও ডাকাতির সাথে জড়িত। তারা বিভিন্ন মামলার আসামীও। বিবাদীগণ ইতিপূর্বে নিহত শাজাহান আহমদ ও তার ভাই ইব্রাহিম আলীর দুইটি গরু জোরপূর্বক নিয়ে যায়। এলাকায় বিচার প্রার্থী হলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। অপরদিকে হত্যাকান্ডের প্রায় ৪ মাস আগে বিবাদীরা ভারত হতে দুইটি গরু চুরি করে নিয়ে আসার সময় স্থানীয় লোকজন এবং ভারতের লোকদের হাল্লা চিৎকার নিহত শাজাহান আহমদ দেখে ফেলে। শাজাহান আহমদ স্থানীয়দের নিয়ে বিবাদীগনের নিকট থেকে চোরাই গরুগুলো উদ্ধার করে বিজিবির নিকট হস্তান্তর করেন। এই আক্রোশে পরিকল্পিতভাবে বিবাদীরা ৫ আগস্ট থেকে ৮ আগস্টের যে কোন সময় দেশে উদ্বুত পরিস্থিতির সুযোগে শাজাহান আহমদকে হত্যা করে পানপুঞ্জির টিলার নির্জন স্থানে ফেলে রাখে। ৮ আগস্ট শাজাহানের গলাকাটা ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে এলাকাবাসি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নিখিল চন্দ্র দাস জানান, ময়না তদন্তের জন্য একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে রোববার দুপুরে নিহত শাহজান আহমদের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।