ওসমানী হাসপাতালে প্রথমবার ৮ শিশু হৃদরোগীর দেহে ডিভাইস স্থাপন
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০২:৫০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : দেশের ইতিহাসে এই প্রথম সিলেটে ৮ শিশু হৃদরোগীর দেহে ডিভাইস স্থাপন করা হয়েছে। শনি ও রোববার ২ দিনে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২ বছর থেকে ১২ বছর বয়সী এসব শিশুর শরীরে সফল অস্ত্রোপাচার শেষে ডিভাইস বসানো হয়। ঢাকার বাইরে এই প্রথম কোনো সরকারী কোন মেডিকেলে এ ডিভাইস স্থাপনের রেকর্ড সৃষ্টি করলো ওসমানী হাসপাতাল।
সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা জানান, হার্টের জন্মগত অস্বাভাবিক ছিদ্র বন্ধ করা, রক্তনালীর স্বাভাবিকীকরণ তথা এ.এস.ডি (অ্যাট্রিয়াল সেপ্টাল ডিফেক্ট), ভি.এস.ডি (ভেন্ট্রিকুলার সেপ্টাল ডিফেক্ট) এবং পি.ডি.এ (প্যাটেন্ট ডাক্টাস আটারিওসাস)-র চিকিৎসার জন্য এ ডিভাইস লাগানো হয়। ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২য় তলায় কার্ডিওলজি বিভাগের ক্যাথল্যাবে এই অপারেশনগুলো সম্পন্ন হয়।
জানা গেছে, সরকারী সহযোগিতার পাশাপাশি লন্ডনের ‘মন্তাদা এইড’ এর অর্থায়নে এবং ঢাকাস্থ বাংলাদেশ শিশু হাসপাতালের শিশু কার্ডিওলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. রেজওয়ানা রিমার নেতৃত্বাধিন ১০ জন চিকিৎসকের একটি টীমের সার্বিক কারিগরি সহায়তায় দু’দিনব্যাপী এ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, শনিবার ৩ জন ও রোববার ৫ জন শিশুর দেহে ডিভাইস বসানো হয়। ওসমানী মেডিকেলের হৃদরোগ বিভাগ ও শিশু মেডিসিন বিভাগের সহযোগিতায় এই কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি ডিভাইসের দাম দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকার বেশী বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
এ বিষয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. মোখলেছুর রহমান দৈনিক জালালাবাদকে বলেন, ওসমানী মেডিকেলের ক্যাথল্যাবে বড় হৃদরোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি শিশু হৃদরোগীদের জন্য এধরনের কার্যক্রম শুধু ওসমানী হাসপাতাল নয়, দেশের সরকারী হাসপাতালগুলোর ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে।
ওসমানী হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল উমর রাশেদ মুনির দৈনিক জালালাবাদকে বলেন, সিলেটের শিশু চিকিৎসা ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ হলো। বহু বিষয়াদির উপর লক্ষ্য রেখে শিশুদের অন্যান্য রোগের জটিলতার বিষয়টি মাথায় রেখে ৮জন শিশুর শরীরে অস্ত্রোপাচার করে ডিভাইস স্থাপন নিঃসন্দেহে মাইলফলক। এই কৃতিত্ব ঢাকা শিশু হাসপাতালের শিশু কার্ডিওলজি বিভাগের। ওসমানী হাসপাতালের কার্ডিওলজি ও শিশু বিভাগ হৃদরোগের শিশু চিকিৎসায় যে নবযাত্রা সুচনা করেছে এর ধারা অব্যাহত রাখতে আমরা প্রতিশ্রুতি বদ্ধ।