নওগাঁতে তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রীতে নামলো
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯:৫৬:৫১ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটে শীতের তীব্রতা না থাকলেও দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল নওগাঁর বদলগাছীতে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। হাড় কাঁপানো শীতে বিপাকে পড়েছেন এ জনপদের খেটে খাওয়া মানুষ। শনিবার বদলগাছীতে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকালে কুয়াশার পরিমাণ কমে রোদের দেখা মিললেও উত্তরের হিমেল বাতাস অব্যাহত থাকায় শীতের তীব্রতা অনুভূত হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ১০ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা থাকলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৮ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ আর তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। সে হিসাবে বদলগাছীতে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে।
তাপমাত্রা কমে যাওয়ার পাশাপাশি উত্তর থেকে আসা হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশায় নওগাঁয় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। শীতের কারণে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া লোকজন পড়েছেন বিপাকে। সেখানে শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগ।
সিলেটেও হালকা শীতের অনুভূতি পাওয়া যাচ্ছে। নগর থেকে গ্রামে গরম পোশাক পরিধানও শুরু করেছেন অধিকাংশ মানুষ। বিশেষ করে শেষ বিকেল থেকে ঠান্ডার পরিমাণ বাড়ছে। গতকাল শনিবার সিলেটের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে সিলেটের হাসপাতালগুলোতেও শীতজনিত রোগীরা ভিড় করছেন বলে জানা গেছে। গত কয়েক দিনে সর্দি, জ্বর, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ওসমানীসহ বিভিন্ন বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অনেকে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগ শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি।
শীত, কুয়াশা, আবহাওয়ার পরিবর্তন ও বায়ুদূষণসহ অসচেতনতার কারণে বিভিন্ন ধরনের রোগ বেড়ে যায় জানিয়ে সিলেট সিভিল সার্জন অফিস বলছে, এ সময় অবশ্যই সতর্ক থাকা প্রয়োজন। এই সময়ে যে কেউ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এসব রোগ থেকে রেহাই পেতে গরম কাপড় ব্যবহার, যতটা সম্ভব ঠান্ডা পরিবেশ এড়িয়ে চলা জরুরি।