বিজয়ের এই প্রদীপ্ত মাস
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৫:৩৫ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার:
আজ ৯ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকহানাদার বাহিনীর কবল থেকে জগন্নাথপুরকে মুক্ত করে বাংলার দামাল ছেলেরা।
স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসের বর্বরতম দুটি ঘটনা ঘটে জগন্নাথপুরের শ্রীরামসি ও রাণীগঞ্জের গণহত্যা সংগঠিত হয়েছিল। হানাদারদের নৃশংসতা ও রাজাকারদের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন এ অঞ্চলের জনগণ। একাত্তরের ৩১ আগস্ট শ্রীরামসী ও ১ সেপ্টেম্বর রাণীগঞ্জ বাজারে পাক হানাদাররা চালায় বর্বর এক হত্যাযজ্ঞ। শত শত মানুষকে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে হত্যা করে তারা। সেই পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড আজও এ অঞ্চলের মানুষের হৃদয়ে নাড়া দিয়ে উঠে।
শ্রীরামসি ও রানীগঞ্জ গণহত্যার পর ৭১ সালের ৪ ডিসেম্বর ভোরে এসে জগন্নাথপুর পৌঁছায় রাজাকার ও পাকহানাদার বাহিনী। সেখানে অবস্থানকালে জগন্নাথপুর পাকহানাদার বাহিনীর মূল ঘাঁটি হিসেবে চিহ্নিত জগন্নাথপুর থানাতে আক্রমণের প্রস্তুতি গ্রহণ করে। এ সময় মুক্তিবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে পাকহানাদার বাহিনীর সদস্যরাও যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয়।
মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধের জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করলে পাকহানাদার বাহিনীর সদস্যরা মুক্তিবাহিনীকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়তে থাকে। ওই যুদ্ধে পাকহানাদার বাহিনীর আক্রমণে মুক্তি বাহিনী পিছু হটে। পরবর্তীতে যুদ্ধের মধ্যদিয়ে ৯ ডিসেম্বর জগন্নাথপুর থানাকে শত্রুমুক্ত ঘোষণা করেন। সাহসী যোদ্ধাদের কাছে রাজাকার, পাকসেনারা সেদিন আত্মসমর্পণ করে। জগন্নাথপুর থানায় প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্যারিস্টার মরহুম মির্জা আব্দুল মতিন।