ভারতে যেসব মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলো আ’লীগের ৪ নেতাকে
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯:০০:৩৫ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : ভারতে ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে কলকাতার নিউটাউন এলাকা থেকে সিলেট আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের ৪ নেতাকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে দেশটির মেঘালয় রাজ্যের পুলিশ। যদিও এর আগে সোমবার কলকাতার আদালতের একজন আইনজীবী ও প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্যের সূত্র ধরে ভারত ও বাংলাদেশের শীর্ষ স্থানীয় গণমাধ্যম কলকাতা থেকে ধর্ষণের অভিযোগে সিলেট আওয়ামীলীগের ৪ নেতা গ্রেফতারের সংবাদ প্রকাশ করেছিল। ঘটনার দুদিন পর এটি নতুন করে মোড় নিয়েছে।
কলকাতা থেকে গ্রেপ্তারকৃত আওয়ামী লীগ নেতারা হলেন- সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের অপসারিত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, সহ-সভাপতি আব্দুল লতিফ রিপন ও মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ইলিয়াস আহমদ জুয়েল। এছাড়াও একই মামলায় পলাতক রয়েছেন সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফসার আজিজ ও সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাস মিঠু।
এদিকে মঙ্গলবার বিবিসির বাংলার এক খবরে বলা হয়েছে আটক ৪ নেতাকে ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়নি।
সিলেট আওয়ামী লীগের নেতাদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে মেঘালয়ের পত্রিকা দ্য শিলং টাইমসের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রেপ্তার চারজনকে রোববার রাতে কলকাতা থেকে পশ্চিম জৈন্তাহিল জেলার প্রধান শহর জোয়াইয়ে আনা হয়। ট্রাক চালককে মারধরের অভিযোগে ডাউকি থানায় দায়ের হওয়া মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। অপরদিকে সোমবার ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ‘জি-নিউজ’-এর একটি সংবাদে তাদেরকে ধর্ষণের মামলায় আটক করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
এছাড়া কলকাতায় অবস্থানরত একাধিক আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মীও তাদেরকে ধর্ষণের ঘটনায় আটকের কথা জানিয়েছিলেন। যদিও তারা বলেছিলেন- ধর্ষণের সাথে আটককৃত মহানগর যুবলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল লতিফ রিপন ও মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ইলিয়াস আহমদ জুয়েল জড়িত থাকতে পারেন। এছাড়া পলাতক সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফসার আজিজ ও সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাস মিঠুও এই অপকর্মে জড়িত থাকার আশঙ্কা করেছিলেন তারা। তবে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের অপসারিত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি এই ধরণের কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন না। একই ফ্ল্যাটে থাকায় তাদেরকে আসামী করা হয়।
এদিকে, মেঘালয়ের দ্য শিলং টাইমসের সাংবাদিক অঘোর পরাগ সংশ্লিষ্ট থানার বরাত দিয়ে জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ডাউকি থানায় গত অক্টোবর মাসে দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা নম্বর ১/২৪ ইউ/এস ১১৮(১)/৩০৯(৪)/৩১০(২)/৩২৪(৪) বিএনএস এবং ১৪ ফরেনস অ্যাক্টে- ৮ ডিসেম্বর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার নিউটাউন এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে আওয়ামী লীগ নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
যেসব ধারায় আটক : ভারতীয় আইন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ১১৮(১) বিএনএস : এটি বিপজ্জনক অস্ত্র বা উপায় দ্বারা স্বেচ্ছায় ক্ষতি করার সঙ্গে সম্পর্কিত। ধারা ৩০৯(৪) বিএনএস : এটি ডাকাতির শাস্তির সঙ্গে সম্পর্কিত। যদিও উপধারা (৪)-এর সুনির্দিষ্ট বিবরণ এখানে উল্লেখ করা হয়নি, সাধারণত ডাকাতির মধ্যে চুরি এবং সহিংসতার ব্যবহার বা হুমকি অন্তর্ভুক্ত থাকে। ধারা ৩১০(২) বিএনএস : এটি ডাকাতির সঙ্গে সম্পর্কিত, যা পাঁচ বা তার বেশি ব্যক্তির মাধ্যমে সংঘটিত ডাকাতি। ধারা ৩২৪(৪) বিএনএস : এটি ডাকাতি করতে গিয়ে স্বেচ্ছায় ক্ষতি করার সঙ্গে সম্পর্কিত।