লন্ডনে জাস্টিস ফর জুলাই ইউকের আলোচনা সভা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮:২২:৪২ অপরাহ্ন
বাংলাদেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবীতে লন্ডনে আলোচনা সভা সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) পূর্ব লন্ডনের একটি হল রুমে উক্ত সভার আয়োজন করে যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন জাস্টিস ফর জুলাই ইউকে।
সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মাদ আমিন উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আবু তালহার পরিচালনায় অনুষ্ঠিক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারী সিরাজুল ইসলাম শাহীন। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ড. শামছুল আলম গোলাপ, সাবেক সিলেট মহানগর ছাত্রশিবির নেতা আমিনুল ইসলাম মাহমুদ, মহানগর শিবিরের সাবেক অফিস সম্পাদক হাফিজ আব্দুল আজিজ, সিলেট জেলা পশ্চিম ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি মো মিজানুর রহমান, সাবেক নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ ছাত্রশিবির সভাপতি ডা: মাহমুদুল হাসান মিলাদ।
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সহ সভাপতি আমিনুল ইসলাম আনহার, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি কামরুল হাসান নাসিম, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল হাই সুফিয়ান, অফিস সেক্রেটারি মাসুদ মুফাসসির, অর্গেনাইজিং সেক্রেটারী সালাহ উদ্দিন গাজী, সোসাল ওয়েলফেয়ার সেক্রেটারি আবুল খায়ের, সহ-কোষাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারী জাফর ইমরান, সিলেট মহানগর ছাত্রশিবিরের সাবেক শিক্ষা সম্পাদক ইসলামি ইব্রাহীম আহমদ, সাবেক সিলেট জেলা পশ্চিম আইন সম্পাদক মোঃ আব্দুল্লাহ আল ফাহিম, সাবেক শিবির নেতা মকসুদ খান।
উপস্থিত ছিলেন শিমুল ইসলাম, আবু সাঈদ, শাহজাহান আহমদ সানি, নাসির উদ্দিন, মুক্তাদির আহমেদ, জাহিদ মিয়া, মো: রাশেদুর রহমান, অলিউর রহমান ও আব্দুল করিম প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিরাজুল ইসলাম শাহীন বলেন- জুলাই সকল ফ্যাসিস্টদের জন্য সতর্কবার্তা। এই স্বাধীনতা আমরা সহস্রাধিক তরুণদের রক্তের উপরে দাঁড়িয়ে পেয়েছি। তা লুট হতে দেয়া যাবেনা। তিনি তরুন প্রজন্মকে স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস জানার আহবান জানান।
নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা বিস্ময়ের সাথে লক্ষ করছি, এই বিপ্লবে নেতৃত্বদানকারী ছাত্রনেতাদের নিরাপত্তা দিতেও বর্তমান সরকার ব্যার্থ হচ্ছে। তাদের উপর বারবার আক্রমণ হচ্ছে। এখনো গুপ্ত হামলা থামে নি। দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে আসে নি। কারণ হচ্ছে এখনো প্রশাসনের বড় পদগুলো হাসিনা দোসরদের দখলে। তাই অনতিবিলম্বে প্রশাসনের মধ্যে ঘাপটি মেরে বসে থাকা খুনীদের চিহ্নিত করে তাদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ করা এখন সময়ের দাবী, আওয়ামীলীগ কখনোই গনতন্ত্রে বিশ্বাসী ছিলোন, যার প্রমান ১৯৭২ সালের বাকশাল, ২০১৪ সালের বিনা ভোটের নির্বাচন, ২০১৮ সালের নিশি রাতের নির্বাচন এবং ২০২৩ সালের ডামি নির্বাচন। আওয়ামীলীগ জনগণের সম্মুখীন হতে সবসময় ভয় পেয়েছে, তাই তারা কখনোই জনগনের ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী ছিলোনা। আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ করার জন্য পুর্ব ইতিহাস জানার কোন প্রয়োজন নেই, শুধু জুলাই গণহত্যার দায়ে আওয়ামীলীগকে শতবার নিষিদ্ধ করা যাবে। বিজ্ঞপ্তি