ভোলাগঞ্জ নদী বন্দর পুনরায় এসেসমেন্ট করা হবে: নৌপরিবহন উপদেষ্টা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯:১৮:১৪ অপরাহ্ন
কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি: ধলাই নদীতে পুরো বছর পানি থাকে না। এটাকে নৌ বন্দর ঘোষণার বিষয়টি আগে জানা ছিল না। আমি ফিরে গিয়ে এ বিষয়টি দেখব। প্রয়োজনে ভোলাগঞ্জ নৌ বন্দরের বিষয়টি পুনরায় এসেসমেন্ট করা হবে। মঙ্গলবার নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর ও পর্যটন এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
এর আগে গত ৬ আগস্ট ভোলাগঞ্জে দেশের ৫০তম নদী বন্দর ঘোষণা করা হয়। তখন থেকেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় স্থানীয়দের মাঝে। এদিন তিনি সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর পরিদর্শনে আসেন। বেলা সাড়ে ৩টায় তিনি ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দরে উপস্থিত হন। এসময় নির্মাণাধীন স্থলবন্দর ঘুরে দেখেন এবং খোঁজখবর নেন। পরে ভোলাগঞ্জ ১০ নম্বর বিজিবি ক্যাম্পে উপস্থিত হয়ে পর্যটনের বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজখবর নেন।
এসময় তিনি সাংবাদিকদের আরো বলেন, ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দরে লুটপাটের বিষয়টি আমি আজকে শুনলাম। লুটপাটের বিষয়টি খুব খারাপ হয়েছে। আমরা দেখছি কারা এসব করছে। তাছাড়া এখানে প্রচুর জায়গা বেদখলের অভিযোগ আছে। অবৈধভাবে স্টোন ক্রাশার হয়েছে। তাদের উচ্ছেদ করতে স্থানীয় প্রশাসন ও জেলা প্রশাসককে আমরা বলব। উনাদের পক্ষে যদি এগুলো উচ্ছেদ করা সম্ভব না হয় তাহলে যা করার আমার করবো। রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে কেউ এসব করলে তা গ্রহণ করা হবে না। রাজনৈতিক পরিচয়ের জন্য ২ হাজার ছেলে-মেয়ে মারা গেছে। এখনো অনেকেই হসপিটালে চিকিৎসাধীন আছে। প্রায় ৫ জন বিকলাঙ্গ হয়ে আছে। রাজনৈতিক পরিচয়ে কেউ দখলবাজী করলে তা বরদাস্ত করা হবে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মানজারুল মানান, অতিরিক্ত সচিব মোঃ সারোয়ার আলম, ৪৮ বিজিবি’র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ হাফিজুর রহমান, গোয়াইনঘাট সার্কেলের এএসপি শহিদুল ইসলাম, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবিদা সুলতানা, স্থলবন্দরের সহকারী প্রকল্প পরিচালক রুহুল আমিন, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি উজায়ের আল মাহমুদ আদনান প্রমুখ।