গাজায় পানি সরবরাহ বন্ধ করা গণহত্যার শামিল
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:২৯:০০ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক: হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে যে, ইসরায়েল গাজায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে তাদের বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ বন্ধ করে হত্যা করছে যা আইনত গণহত্যা এবং ধ্বংসের শামিল। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। ‘এই নীতি, গাজায় ফিলিস্তিনি বেসামরিকদের গণহত্যার অংশ হিসাবে চিহ্নিত। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ নির্মূলের নীল নকশার অংশ হিসাবে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে, যা চলমান রয়েছে। এই নীতিটি ১৯৪৮ সালের জেনোসাইড কনভেনশনের অধীনে একটি ‘গণহত্যার কাজ’ হিসাবেও পরিমাপ করে,’ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তার প্রতিবেদনে বলেছে।
ইসরায়েল বরাবরের মতো গণহত্যার এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। প্রতিবেদনে পানির বঞ্চনাকে গণহত্যার কাজ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। এটি কিছু সিনিয়র ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বিবৃতি উদ্ধৃত করেছে যা থেকে ¯পষ্ট যে তারা ফিলিস্তিনিদের ধ্বংস করতে চায়। যার অর্থ পানির বঞ্চনা গণহত্যার অপরাধ হিসাবে গণ্য হতে পারে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মধ্যপ্রাচ্যের পরিচালক লামা ফাকিহ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা যা পেয়েছি তা হলো যে ইসরায়েলি সরকার উদ্দেশ্যমূলকভাবে গাজায় ফিলিস্তিনিদের তাদের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় পানি সরবরাহ অস্বীকার করে হত্যা করছে।’
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ হলো এক মাসের মধ্যে দ্বিতীয় প্রধান সংস্থা যা গাজায় ইসরায়েলের কর্মকান্ড বর্ণনা করতে গণহত্যা শব্দটি ব্যবহার করেছে। এর আগে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তাদের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছিলো যে, ইসরাইল গণহত্যা করছে।