খণ্ডবিখণ্ড দেহাংশের সঙ্গে মিলেছে এমপি আনারের মেয়ের ডিএনএ
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯:৪৩:২৮ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক : আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের মরদেহের খণ্ডাংশের সঙ্গে তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিনের ডিএনএ মিলেছে।
জানা গেছে, দুইজনের নমুনা পাঠানো হয়েছিল ভারতের সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে। সেই নমুনা দুটির ডিএনএ মিল পাওয়া গেছে। নভেম্বরের শেষ দিকে কলকাতায় এসেছিলেন ডরিন। তখন তার ডিএনএর নমুনা নেওয়া হয়। তারপর দুটি নমুনা যাচাইয়ের জন্য সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছিল।
আনোয়ারুল আজীম আনার কলকাতার যে আবাসনে খুন হয়েছিলেন, সেই সঞ্জীবা গার্ডেনের একটি ভবনের সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করা হয় প্রায় চার কেজি মাংস। অন্যদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কৃষ্ণমূর্তি এলাকার ভাঙ্গরের বাগজোলা খাল থেকে উদ্ধার হয় মানবদেহের একাধিক হাড়গোড়। উদ্ধারকৃত ওই মাংস ও হাড়গোড় পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে (সিএফএসএল)। সিএফএসএলে’র প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী মানবদেহের সেই অংশগুলো পুরুষের।
যদিও সেই খণ্ডবিখণ্ড লাশ এমপি আনারের কি না, তা নিশ্চিত হতেই ডিএনএ পরীক্ষা জরুরি ছিল। সেক্ষেত্রে অনেক আগেই নিহত এমপি আনারের কন্যা মুমতারিন ফেরদৌস ডোরিন কলকাতায় আসার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে যায়। গত নভেম্বর মাসেই কলকাতা এসে সিআইডি কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন এবং ডিএনএ পরীক্ষার জন্য তার কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তদন্তকারী সংস্থা।
এদিকে গত ২৩ মে জিহাদ হাওলাদার এবং ৭ জুন সিয়াম হোসেনকে গ্রেপ্তারের পর আগস্ট মাসে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসাত জেলা আদালতে প্রায় ১২০০ পাতার চার্জশিট জমা পড়ে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ), ৩০২ (অপরাধমূলক নরহত্যা), ২০১ (তথ্য প্রমাণ লোপাট), ৩৪ (সংঘবদ্ধভাবে অপরাধমূলক কাজ সংঘটিত করা) এবং ১৪ ফরেনার্স আইনে মামলা দেওয়া হয়।