সিলেটে হাসন উৎসব অনুষ্ঠিত
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:১১:৪৩ অপরাহ্ন
সিলেটে শেষ হলো দুই দিনব্যাপী হাছন উৎসব। মরমি কবি হাছন রাজা স্মরণে এ উৎসবের আয়োজন করেছিল হাছন রাজা লোকসাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদ সিলেট। ২দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানমালার শুরু হয় ২০ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকাল ৩ টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে। এতে বৃহত্তর সিলেট বিভাগের সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার শিল্পীগণ হাছন রাজার লেখা গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন। জান্নাতুন নাজনীন ও মোঃ মাছুম এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের ১ম দিন আয়োজনটি রাত ১০ টায় সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
২য় দিন ২১ ডিসেম্বর শনিবার বেলা সাড়ে ৩টা থেকে রাত সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত নগরীর রিকাবিবাজারে কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে উৎসবের সমাপনী পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কণ্ঠশিল্পী এবং হাছন উৎসব উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ডাঃ জহিরুল ইসলাম অচিনপুরী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন একুশে পদকপ্রাপ্ত নাট্যকার শাকুর মজিদ, প্রবীণ শিল্পী আকরামুল ইসলাম, আবু বক্কর সিদ্দিক ও জামাল উদ্দিন হাসান বান্না, লোক গবেষক সুমন কুমার দাশ, মোস্তফা সেলিম ও সৈয়দা আঁখি হক প্রমুখ। এ ছাড়া আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আবু সালেহ আহমদ ও প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক সোলেমান হোসেন চুন্নু বক্তব্য রাখেন।
সভায় বক্তারা বলেন, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হাছন রাজার স্বজাতকে চিনতে পেরে বাংলার ঘুমন্ত সমাজে তাঁকে পরিচিত করে জাগ্রত করে তোলেন। দুঃখের সাথে বলতে হয় পরবর্তী সময়ে তাঁর গান, জীবন ও সৃষ্টিকর্মকে নিয়ে উচ্চমানের গবেষণা খুব কমই হয়েছে। আগামী প্রজন্মের কাছে হাছনের গান ও তাঁর বাণী তথা মরমী মূল্যবোধ পৌঁছে দিয়ে সমাজের লোভ ক্রোধ অস্থিরতা ও হানাহানি রোধ করা সম্ভব বলে বক্তারা মত প্রকাশ করেন।
সমাপনী পর্বে সাতজন বিশিষ্ট গুণীজনকে ‘হাছনরতœ সম্মাননা’ পদক ও একজন মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা সনদ দেওয়া হয়। তাঁরা হলেন শিল্পী আকরামুল ইসলাম ও সেলিম চৌধুরী, নাট্যকার শাকুর মজিদ, শিল্পী উজির মিয়া (মরণোত্তর), আবদুল লতিফ (মরণোত্তর), ইয়ারুন্নেসা (মরণোত্তর) ও বিদিত লাল দাস (মরণোত্তর)। এছাড়া বিজয়ের মাসে বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ মোশাহিদ আলীকে বিশেষ সম্মাননা সনদ প্রদান করা হয়। বিজ্ঞপ্তি